প্রতিবছর এপ্রিল মাসের ১৪ তারিখ বাংলা নববর্ষ পালন করা হয়, যাকে আমরা পহেলা বৈশাখ হিসেবে চিনি। বাংলা ক্যালেন্ডার অনুযায়ী প্রতিবছর বৈশাখ মাসের এক তারিখ বাংলা বছরের প্রথম দিন ধরা হয়। এই দিন উপলক্ষে বিভিন্ন ধরনের অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে পান্তা ভাত ও ইলিশ ভাজি খাওয়ার আয়োজন করা হয়। অন্যদিকে নববর্ষের কবিতা প্রতিযোগিতা ও সবাই একে অপরের সাথে শুভেচ্ছা বিনিময় করে। তাই আপনারা যারা পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে পহেলা বৈশাখ সম্পর্কে দশটি বাক্য অনুসন্ধান করছেন। তাদের জন্য এখানে ভিন্ন কিছু তথ্য দিয়ে তৈরি করা পহেলা বৈশাখ সম্পর্কে ১০টি বাক্য দেয়া হয়েছে।
পহেলা বৈশাখ সম্পর্কে ১০টি বাক্য
১. পহেলা বৈশাখ বাংলা নববর্ষ, যা প্রতি বছর ১৪ই এপ্রিল বাংলাদেশ ও পশ্চিমবঙ্গে উৎসবের আবহে পালিত হয়।
২. এটি কেবল একটি নতুন বছরের শুরু নয়, বরং বাঙালি সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের প্রতিফলন।
৩. পুরান ঢাকার মুসলিম মাহিফরাস সম্প্রদায়ের হাতেই এর উদযাপন শুরু হয়েছিল।
৪. শোভাযাত্রা, মেলা, পান্তাভাত, হালখাতা খোলা, নতুন জামা কাপড় পরা ইত্যাদি রীতিনীতি পহেলা বৈশাখের সাথে জড়িত।
৫. “শুভ নববর্ষ” – এটি নববর্ষের ঐতিহ্যবাহী শুভেচ্ছা বাক্য।
৬. ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক আয়োজিত মঙ্গল শোভাযাত্রা ইউনেস্কো স্বীকৃত সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য।
৭. ব্যবসায়ীরা নতুন হিসাব খুলে নতুনভাবে ব্যবসা শুরু করার দিন হিসেবে পহেলা বৈশাখ পালন করে।
৮. পরিবার ও বন্ধুদের সাথে মিলিত হয়ে আনন্দ-উৎসব করে পহেলা বৈশাখ উদযাপন করা হয়।
৯. বাংলার ঐতিহ্যবাহী খাবার, পোশাক, গান, বাঈচা, আলপনা ইত্যাদির মাধ্যমে সাংস্কৃতিক সমৃদ্ধি প্রকাশ পায়।
১০. পুরনো বছরের ভুল ভুলে নতুন বছরে নতুন করে শুরু করার আশা ও উদ্দীপনা নিয়ে পহেলা বৈশাখ পালিত হয়।
আপনার কাছে বন্ধু ও ভালোবাসার মানুষদের পহেলা বৈশাখের শুভেচ্ছা প্রেরণ করুন। আপনাদের নতুন বছর শুভ হোক, এই আশায় সবাইকে পহেলা বৈশাখের শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন।