শবে কদরের নামাজ কত রাকাত তা নির্দিষ্ট করে কোনও হাদিস বা সাহাবায়ে কেরামের আমল প্রমাণিত নেই। তবে, বিভিন্ন সূত্র থেকে জানা যায় যে, শবে কদরের রাতে রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বেশি বেশি নামাজ পড়তেন। আপনারা যারা সৌদি আরবসহ বিভিন্ন মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে অবস্থান করছেন। তাদের জন্য লাইলাতুল কদর অর্থাৎ ২৭ রমজানের রাত্রি হচ্ছে ৫ এপ্রিল দিবাগত রাত। তবে শুধুমাত্র ২৭ রমজানের রাতে ইবাদত না করে, শেষ রমজানের বিজোড় রাত্রি গুলোতে লাইলাতুল কদরের নামাজ পড়া উচিত।
শবে কদরের নামাজ কত রাকাত
শবে কদরের নামাজ কত রাকাত নামাজ পড়বেন তা আপনার ইচ্ছার উপর নির্ভর করে। তারাবির নামাজের পরে ২ রাকাত করে ফজরের ওয়াক্ত শুরু আগ পর্যন্ত শবে কদরের নামাজ পড়তে পারবেন।
কিছু জনপ্রিয় রাকাত সংখ্যা:
- ২ রাকাত করে যত খুশি: অনেকে মনে করেন, রাতের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত ২ রাকাত করে যত খুশি নামাজ পড়া উচিত।
- ৮ রাকাত: অনেকে ৮ রাকাত শবে কদরের নামাজ পড়েন।
- ১১ রাকাত: অনেকে ১১ রাকাত নামাজ পড়েন।
- ২০ রাকাত: অনেকে ২০ রাকাত তারাবিহ পড়ার পর যত রাকাত ইচ্ছা শবে কদরের নামাজ পড়েন।
- মাঝ রাত হতে শেষ রাত পর্যন্ত তাহাজ্জুদ: অনেকে মাঝ রাত হতে শেষ রাত পর্যন্ত তাহাজ্জুদ পড়েন।
শবে কদরের নামাজের নিয়ম
সবাইকে লাইলাতুল কদরের শুভেচ্ছা, এখান থেকে জেনে নিন কিভাবে শবে কদরের নামাজ পড়বেন।
- নিয়ত: নামাজ শুরু করার আগে নিয়ত করতে হবে। ( শবে কদরের নিয়ত দেখুন এখানে )
- এখন ছানা পাঠ করুন
- সূরাহ ফাতিহা: প্রতি রাকাতে সূরাহ ফাতিহা পাঠ করতে হবে।
- কুরআন তেলাওয়াত: সূরাহ ফাতিহার পর অন্য কোনও সূরাহ বা আয়াত তেলাওয়াত করতে পারেন।
- রুকু ও সিজদা: রুকু ও সিজদা সঠিকভাবে করতে হবে।
- ১ম রাকাত শেষ করে একইভাবে ২য় রাকাত পড়তে হবে
- এইভাবে দুই রাকাত করে যত খুশি তত শবে কদরের নামাজ পড়বেন
- দোয়া: নামাজ শেষে দোয়া করতে হবে।
শবে কদরের রাতে আরও কিছু আমল
- কুরআন তেলাওয়াত: শবে কদরের রাতে বেশি বেশি কুরআন তেলাওয়াত করুন।
- দোয়া-ইস্তেগফার: বেশি বেশি দোয়া-ইস্তেগফার করুন।
- তওবা: গুনাহের জন্য তওবা করুন।
- আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা: আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করুন।
আশা করি এই তথ্যগুলো আপনার জন্য সহায়ক হবে। শুভকামনা! সবাইকে শেয়ার করে জানিয়ে দিন শবে কদরের নামাজ কত রাকাত। আরও জানতে পারবেন শবে কদর কত তারিখে পালন করা হবে। শবে কদরের নামাজ পড়ার নিয়ম অবশ্যই সবার সাথে শেয়ার করুন।
আরও দেখুনঃ