আজ শবে কদর! এই রাত হাজার মাসের চেয়ে উত্তম। এই রাতে আল্লাহ তায়ালা সকল দোয়া কবুল করেন এবং রহমত বর্ষান। এই রাতে আমরা তাহাজ্জুদ, নফল, ইত্যাদি নামাজ পড়া থেকে শুরু করে শবে কদরের নামাজ আদায় করে থাকি। এ রাতে কোরআন তিলাওয়াত করা অনেক গুরুত্বপূর্ণ, তাই পবিত্র কোরআন পাঠ করা থেকে বিরত থাকবেন না। শবে কদরের রাতে আল্লাহর কাছে ক্ষমা, রহমত, এবং জান্নাতের জন্য দু’আ করা। লাইলাতুল কদরের রাতে আল্লাহর নাম বেশি বেশি স্মরণ করা। অন্যদিকে শবে কদরের রাতে দান-সদকা: গরিব-দুঃখীদের সাহায্য করা। আসুন আমরা এই রাতের পূর্ণ সুযোগ গ্রহণ করি এবং আল্লাহর কাছে ক্ষমা ও রহমতের জন্য প্রার্থনা করি।
শবে কদরের শুভেচ্ছা
গুরুত্বপূর্ণ এইরাত নিয়ে বিভিন্ন হাদিসে বলা হয়েছে। তাই আপনারা যারা এই রাত উপলক্ষে, একে অপরকে শুভেচ্ছা জানাতে চান। তাদের জন্য এখানে লাইলাতুল কদরের দারুণ গেছে শুভেচ্ছা স্ট্যাটাস দেওয়া হয়েছে। আরও জেনে নিন শবে কদরের নামাজ কত রাকাত, আমল ও নামাজের নিয়ম।
- সবাইকে পবিত্র লাইলাতুল কদরের শুভেচ্ছা।
- লাইলাতুল কদরের রাতে আল্লাহ আপনাদের সকল দোয়া কবুল করুন।
- সবার জীবনে লাইলাতুল কদরের এই রাতে জীবনে আসুক সুখ ও সমৃদ্ধি।
- আজকের রাত শবে কদর। আল্লাহ্ আমাদের সকলের দুয়া কবুল করুন।
- শবে কদরের রাতে দোয়া করি, আল্লাহ্ আমাদের গোনাহ মাফ করে দিন এবং আমাদের জীবনে বরকত দান করুন।
- এই মহিমান্বিত রাতে আসুন আমরা সকলে মিলে আল্লাহ্-এর কাছে ক্ষমা ও দোয়া চাই।
শবে কদর নিয়ে স্ট্যাটাস
লাইলাতুল কদর নিয়ে স্ট্যাটাস এখানে দেওয়া হয়েছে। আপনার আপনাদের পছন্দের কদর নিয়ে স্ট্যাটাস শেয়ার করুন।
- শবে কদর রমজান মাসের শেষ দশকের যেকোনো এক বিজোড় রাতে পালিত হয়।
- এই রাতে আল্লাহ্ জিবরাইল (আঃ)-এর মাধ্যমে ফেরেশতা বাহিনী পৃথিবীতে নিয়োগ করেন।
- এই রাতে একজন ব্যক্তি যদি ইবাদত করে, তাহলে তার পূর্ববর্তী সকল গোনাহ মাফ করে দেওয়া হয়।
- শবে কদরকে “হাজার মাসের চেয়ে উত্তম” বলা হয়েছে।
- পূর্ণ এক বছর পরে আমাদের সামনে উপস্থিত হয়েছে লাইলাতুল কদর শবে কদর। এটি মানবজাতির জন্য মঙ্গল কামনার জন্য সুবর্ণ একটি রাত্রি। (শবে কদরের শুভেচ্ছা)
- এসেছে শবে কদর, মহান রবের কাছে প্রার্থনা করে আমাদের জন্য ক্ষমা চেয়ে, আমাদের সামনের দিনগুলো কে মঙ্গল কামনা করার জন্য দুহাত তুলে অশ্রু ঝরানো রাত আজকে। (শবে কদরের শুভেচ্ছা)
- হাজার মাসের চেয়েও এই রাত উত্তম। এ রাতে আমাদের অপরাধের অনুতপ্ত এবং আমাদের সকল কৃতকর্মের জন্য নিজেকে গুটিয়ে নেওয়া। (শবে কদরের শুভেচ্ছা)
- এই রাত দোয়া কবুলের রাত, এই রাত ক্ষমার রাত, এই রাত রিজিক বৃদ্ধির রাত, এই রাত হায়াত দীর্ঘায়িত করার রাত, শুধু রাত্রি জেগে মহান রবের কাছে চাইতে হবে। সবাইকে শবে কদরের শুভেচ্ছা
শবে কদর নিয়ে ক্যাপশন
- লাইলাতুল কদরের ইবাদত হাজার মাস এবাদত করার চেয়েও উত্তম।
- রমজান মাসের শেষ দশকের মধ্যে যেকোনো বেজোড় রাত্রি তে তোমরা শবে কদর খোঁজ করিতে থাকো।
- এই রাত্রিতে তোমরা কোরআন তেলাওয়াত নফল নামাজ জিকির বেশি বেশি করতে থাকো।
- শবে কদর বিশেষভাবে দোয়া কবুল হয়ে থাকে, তাই এই রাতে বেশি করে দোয়া করা চাই।
- হে রব তুমিতো ক্ষমাশীল শবে কদরের রাত্রি তে তুমি আমাদের সকলকে ক্ষমা করে দাও।
- হজরত রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেন, যদি কেউ লাইলাতুল কদর খুঁজতে চায় তবে সে যেন তা রমজনের শেষ দশ রাত্রিতে খোঁজ করে। (মুসলিম, হাদিস নং : ৮২৩)
- যদি সারা বছরের মধ্যে কদরের রাত হয়, তবে তা পাওয়ার জন্য আমি সারা বছর রাতের নামাজে দাঁড়িয়ে থাকতাম। তাহলে আপনি কি মনে করেন মাত্র দশ রাতের জন্য কি করা উচিত? – ইবনুল কাইয়িম বলেন:
- যদি কেউ এ বছরের লাইল তুল কদর মিস করে, সে এক হাজার মাসের ইবাদাত মিস করে! আর কে জানে এটাই হতে পারে শেষ রমজান
শবে কদর নিয়ে ফেসবুক পোস্ট
- আয়েশা বর্ণনা করেছেন: রমজানের শেষ দশ দিন শুরু হওয়ার সাথে সাথে, নবী (সাঃ) তার কোমরের বেল্ট শক্ত করতেন (অর্থাৎ কঠোর পরিশ্রম করতেন) এবং সারা রাত নামাজ পড়তেন এবং তার পরিবারকে নামাজের জন্য জাগিয়ে রাখতেন। [বুখারী]
- একদা হযরত উবায়দা (রা.) নবী করীম (সা.) কে লাইলাতুল কদরের রাত সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলে তখন নবীজী সেই সাহাবিকে বললেন রমজানের বেজোড় শেষের দশ দিনের রাতগুলোকে তালাশ করো। (বুখারি, হাদিস নং: ২০১৭)
- দোয়া, জিকির ও নফল ইবাদতের মাধ্যমে শবে কদরের রাত্রি জাগরন করুন। বেশি বেশি আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করুন। আল্লাহ আমাদের সবাইকে শবে কদরের রাত্রি মিলিয়ে দিক আমিন
- শবে কদরের রাত্রি জেগে আল্লাহর কাছে বেশি বেশি প্রার্থনা করুন। নিজের জীবনের গুনাহের জন্য বারবার ক্ষমা প্রার্থনা করুন। আল্লাহ আমাদের সবাইকে শবে কদরের রাত্রি কে উছিলা করে মাফ করুক – আমিন।
শবে কদরের শুভেচ্ছা ছবি
কিছু আমল:
- এই রাতে রোজা রাখা, তাহাজ্জুদ পড়া, কোরআন তিলাওয়াত করা, দোয়া করা, এবং দান-সদকা করা অত্যন্ত ফজিলতপূর্ণ।
- এই রাতে “আল্লাহুম্মা ইন্নাকা ‘আফুউন, তুহিব্বুল-‘আফু, ফা’ফু ‘আন্নী” এই দোয়াটি বারবার পড়ার ফজিলত অনেক।
- অন্যদের জন্য দোয়া করার কথাও ভুলবেন না।