আয়ারল্যান্ড ওয়ার্ক পারমিট ভিসা, বেতন ও কাজের চাহিদা

বাংলাদেশ থেকে আয়ারল্যান্ডে কাজের উদ্দেশ্যে অনেকেই যেতে চায়। আয়ারল্যান্ডে যেতে চাইলে ওয়ার্ক পারমিট ভিসায় যেতে হবে। অন্যান্য দেশে বিভিন্ন ধরনের কাজের ভিসা থাকলেও। এদেশে ওয়ার্ক পারমিট ভিসার দুইটি ধরন রয়েছে। জেনারেল ওয়ার্ক পারমিট ভিসা এবং …

আয়ারল্যান্ড ওয়ার্ক পারমিট ভিসা, বেতন ও কাজের চাহিদা

বাংলাদেশ থেকে আয়ারল্যান্ডে কাজের উদ্দেশ্যে অনেকেই যেতে চায়। আয়ারল্যান্ডে যেতে চাইলে ওয়ার্ক পারমিট ভিসায় যেতে হবে। অন্যান্য দেশে বিভিন্ন ধরনের কাজের ভিসা থাকলেও। এদেশে ওয়ার্ক পারমিট ভিসার দুইটি ধরন রয়েছে। জেনারেল ওয়ার্ক পারমিট ভিসা এবং স্কিলড ওয়ার্ক পারমিট ভিসা। যদি আয়ারল্যান্ডে কাজের জন্য যেতে চান। তাহলে এই দুই ধরনের ভিসা থেকে একটি ভিসার মাধ্যমে যেতে হবে। কেননা আয়ারল্যান্ডের কাজের জন্য ওয়ার্ক পারমিট ভিসা রয়েছে।

কাজের উদ্দেশ্যে অনেকেই আয়ারল্যান্ডের যেতে আগ্রহী হচ্ছে। আগ্রহীরা আবেদন করতে পারবে। ওয়ার্ক পারমিটের জন্য কিভাবে আবেদন করতে হয় এবং ভিসা আবেদন করতে কত টাকা লাগে। তা নির্ভর করবে আপনি কোন কাজের জন্য ভিসা সংগ্রহ করবেন। বাংলাদেশের অনেক এজেন্সি আছে। তাদের মাধ্যমে ভিসার আবেদন করতে পারবে। এবং জানতে পারবেন ওয়ার্ক পারমিট ভিসা সংগ্রহ করতে কত টাকা লাগে। আয়ারল্যান্ড ওয়ার্ক পারমিট ভিসার আবেদন এবং কোন কাজের বেতন কত। আয়ারল্যান্ড ওয়ার্ক পারমিট ভিসা এবং কোন কাজে চাহিদা বেশি দেখে নিন।

আয়ারল্যান্ড কোন কাজের চাহিদা বেশি

বাংলাদেশ থেকে আয়ারল্যান্ডের কাজ করতে চাইলে। জানতে হবে কোন কাজের চাহিদা বেশি এবং বেতন বেশি। অন্যান্য দেশের মতো এদেশেও বিভিন্ন কাজের চাহিদা রয়েছে। কাজের ধরন অনুযায়ী বেতন কম বেশি হয়ে থাকে। যে কাজের চাহিদা বেশি সে কাজের বেতন বেশি। আয়ারল্যান্ডে ওয়ার্ক পারমিট ভিসায় যে ধরনের কাজ রয়েছে এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য।

  • হোটেল বা রেস্টুরেন্ট এর কাজ
  • ইলেকট্রিশিয়ান এর কাজ
  • প্লাম্বার এর কাজ
  • কনস্ট্রাকশন এর কাজ
  • ফ্যাক্টরির কাজ
  • বিভিন্ন কোম্পানির কাজ

আয়ারল্যান্ড ওয়ার্ক পারমিট ভিসা

সকল দেশেই কাজের চাহিদা রয়েছে। আয়ারল্যান্ডে বিভিন্ন ধরনের কাজের সুযোগ থাকায়‌। এ দেশ থেকেও বিভিন্ন কাজের ভিসায় নিয়োগ দেয়া হয়। যদি কোন কাজের অভিজ্ঞতা থাকে। তাহলে জেনারেল ওয়ার্ক পারমিট ভিসা অথবা স্কিলড ওয়ার্ক পারমিট ভিসা সংগ্রহ করতে পারবেন। কেননা কাজের ভিসার জন্য এই দেশে দুই ধরনের ভিসা রয়েছে। জেনারেল ওয়ার্ক পারমিট ভিসা এবং স্কিলড ওয়ার্ক পারমিট ভিসা।

  • জেনারেল ওয়ার্ক পারমিট ভিসায়। যেকোনো কাজের জন্য আবেদন করতে পারবেন। যদি সেই কাজের ভিসা সংগ্রহ করা যায়। ভিসা আবেদনে কয়েকটি ধাপ অবলম্বন করতে হবে।
  • স্কিলড ওয়ার্ক পারমিট ভিসায়। নির্দিষ্ট কিছু কাজের দক্ষতা অনুযায়ী ভিসা দিয়ে থাকে। এই ভিসা পেতে কাজের দক্ষতা থাকতে হবে। এরপর ভিসা সংগ্রহ করতে পারবেন।

ভিসার জন্য আবেদন করার সুযোগ রয়েছে। আপনি বাংলাদেশের এজেন্সির মাধ্যমেও ভিসা সংগ্রহ করতে পারবেন।

আয়ারল্যান্ড ওয়ার্ক পারমিট ভিসা আবেদন

আয়ারল্যান্ডের ওয়ার্ক পারমিট ভিসা আবেদনের জন্য প্রয়োজনীয় কিছু তথ্য সংগ্রহ করতে হবে। যা আবেদন করার ক্ষেত্রে লাগবে। ভিসা পাওয়ার ক্ষেত্রে কিছু বিষয় খেয়াল রাখতে হবে।

  • আপনি স্কিলড ওয়ার্ক পারমিট ভিসায় যেতে পারবেন। তবে কাজের দক্ষতা এবং অভিজ্ঞতা লাগবে।
  • আপনি দুইটি পদ্ধতিতে আবেদন করতে পারবেন অনলাইনের মাধ্যমে এবং এজেন্সির মাধ্যমে।
  • যদি কোন কোম্পানির মাধ্যমে ওয়ার্ক পারমিট ভিসা পেয়ে যান। তাহলে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সংগ্রহ করে। এম্বাসিতে ভিসার কাগজপত্র জমা দিন। এম্বাসিতে প্রয়োজনের তথ্য জমা দেওয়ার পর।
  • সকল কার্যক্রম সম্পূর্ণ হলে, এরপর ভিসা সংগ্রহ করতে পারবেন।

আয়ারল্যান্ড কাজের ভিসা আবেদন

আয়ারল্যান্ডে যেতে ভিসা প্রসেসিং করতে হবে। এজন্য কাজের ভিসার আবেদন করতে হবে। আপনি চাইলে অনলাইন এর মাধ্যমে আবেদন করতে পারবেন যদি অভিজ্ঞতা থাকে। অথবা অন্য কারো মাধ্যমে আবেদন করে নিতে পারবেন। আপনি চাইলে বাংলাদেশ এর এজেন্সির মাধ্যমে আবেদন করতে পারবেন।

যদি আপনি আবেদন করতে চান। তাহলে আয়ারল্যান্ডের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটের মাধ্যমে। যে সকল কোম্পানি ভিসা দিয়ে থাকে। তাদের ওয়েবসাইট থেকে কাজের ধরন অনুযায়ী। ওয়ার্ক পারমিট ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন। যদি ভিসা প্রসেসিং এর কাজ সম্পূর্ণ হয়ে যায়। ভিসা সংগ্রহের পর বিমানের টিকিট বুকিং করতে হবে। এরপর টিকিট সংগ্রহ করার পর সহজেই আয়ারল্যান্ডে যেতে পারবেন।

আয়ারল্যান্ড বেতন কত

আয়ারল্যান্ডের ভিসা সংগ্রহ করে এরপর আয়ারল্যান্ডে যেতে পারবেন। এদেশেও বিভিন্ন ধরনের কাজ রয়েছে। কাজের ধরন অনুযায়ী বেতন নির্ধারণ করা হয়। আপনি যদি আয়ারল্যান্ডে যেতে আগ্রহী হন। তাহলে জানতে হবে এই দেশে কাজের বেতন কত। আপনার কাজের দক্ষতা অনুযায়ী কাজের বেতন পাবেন। কোন কাজের জন্য ভিসা সংগ্রহ করেছেন সেই কাজের উপর নির্ভর করে বেতন পাবে।

আয়ারল্যান্ড সর্বনিম্ন বেতন কত

আপনি আয়ারল্যান্ডে থেকে কত টাকা রোজগার করবেন তা নির্ভর করবে আপনি কোন ধরনের ভিসা সংগ্রহ করবেন। যে সকল কাজের চাহিদা বেশি এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য কনস্ট্রাকশনের কাজ ইলেকট্রিশিয়ানের কাজ। এদেশেও বিভিন্ন কাজের সুযোগ রয়েছে। আপনি কত টাকা রোজগার করতে পারবেন। তা নির্ভর করবে আপনি কোন ধরনের ভিসা সংগ্রহ করেছেন। কাজের দক্ষতার উপর আয়ারল্যান্ডে কাজের ধরন অনুযায়ী ৪০ হাজার টাকা থেকে ২ লক্ষ টাকা রোজগার করতে পারবেন।

বাংলাদেশ থেকে আয়ারল্যান্ড যেতে কত টাকা লাগে

বাংলাদেশ থেকে ধারা আয়ারল্যান্ডে ভিসা প্রসেসিং করবে। তাদের অনেকেই জানতে আগ্রহ নিয়ে এটেন্সের মাধ্যমে যেতে কত টাকা লাগে। সাধারণত আয়ারল্যান্ডের ওয়ার্ক পারমিট ভিসায় যেতে পারবেন। এক্ষেত্রে কাজের ধরন অনুযায়ী ভিসার দাম কম বেশি হয়ে থাকে। বাংলাদেশ থেকে আয়ারল্যান্ড যেতে ৬ লক্ষ থেকে ৯ লক্ষ টাকা। এজেন্সির মাধ্যমে যেতে চাইলে সতর্কতা অবলম্বন করুন।

এখানে আয়ারল্যান্ডে যেতে কত টাকা লাগে এবং কোন কাজের বেতন বেশি উল্লেখ করা হয়েছে। আশা করা যায় এখান থেকে জানতে পেরেছেন।

আরও দেখুনঃ

ইতালিতে কোন কাজের বেতন কত ও কোন কাজের চাহিদা বেশি

ওমানে কোন কাজের চাহিদা বেশি | ওমানে কোন কাজের বেতন কত

মালয়েশিয়া কনস্ট্রাকশন কাজের বেতন কত | রাজমিস্ত্রী, ইলেকট্রিশিয়ান, প্লাম্বার ও সাধারণ শ্রমিক

Leave a Comment