বাংলাদেশ থেকে বিভিন্ন প্রয়োজনে কাতারে ভ্রমণ করে থাকে অনেকেই। বাংলাদেশ থেকে ইতিমধ্যে অনেকেই কর্মসংস্থান গড়ে তুলেছে। কাতারে বেশিরভাগ এই দুই ধরনের ভিসায় যা হয় । টুরিস্ট ভিসা এবং ওয়ার্ক পারমিট ভিসা। যদি কাতার যাওয়ার জন্য পাসপোর্ট তৈরি করে থাকেন। তাহলে জানতে হবে কাতার যেতে কত টাকা লাগে। কাতার এর ভিসা দাম কত।
কেননা ভিসা আবেদন করতে হয়। বাংলাদেশের অনেক এজেন্সি আছে ভিসা প্রসেসিং করে। এজেন্সি থেকে যে টাকা চাওয়া হয় ভিসা এবং বিমানের টিকিট দাম। তা অনেকেরই জানা নেই। কাতার যেতে কত টাকা লাগে। তা জানা থাকলে আবেদন করতে সহজ হবে। কাতারে কাজ করতে চাইলে সংগ্রহ করতে হবে ওয়ার্ক পারমিট ভিসা। ভ্রমণ করতে চাইলে সংগ্রহ করতে হবে টুরিস্ট ভিসা। এবং ভিসার ধরণ অনুযায়ী টাকা কম বেশি লাগে। কাতারে বিভিন্ন কাজের সুযোগ রয়েছে। কাতার যেতে কত টাকা লাগে এখানে উল্লেখ করা হয়েছে
কাতার যেতে কত টাকা লাগে
কাতারে কর্মসংস্থান গড়ে তুলতে চাইলে ভিসা প্রসেসিং করতে হবে। দুই ধরনের ভিসা আছে। কাজের ভিসা এবং টুরিস্ট ভিসা। যদি কাতারে কর্মসংস্থান গড়ে তুলতে চান। ওয়ার্ক পারমিট ভিসা লাগবে। যদি ভ্রমন করতে চান টুরিস্ট ভিসা লাগবে। ভিসা প্রসেসিং এর উপর নির্ভর করে। আপনি কোন ধরনের ভিসা করতে চান। এবং কাতার যেতে কত টাকা লাগবে। ভিসার ধরন অনুযায়ী নির্ভর করে কত টাকা লাগবে।
বাংলাদেশ থেকে কাতার যেতে কত টাকা লাগে
বাংলাদেশের বিভিন্ন এজেন্সি কাতার ভিসা প্রসেসিং করে। তাদের মাধ্যমে ভিসার আবেদন করা যায়। ভিসা আবেদন করতে কত টাকা চাইবে তা জানা নেই। এজন্য সতর্কতা অবলম্বনে কাতার ভিসার দাম কত। এবং কাতার যেতে কত টাকা লাগে জানা থাকলে। সেই অনুযায়ী পদক্ষেপ নেয়া যাবে। কাতার যেতে কত টাকা লাগে তার নির্ভর করে। কোন ধরনের ভিসা তৈরি করবেন। ভিসার ধরন অনুযায়ী টাকা লাগবে। যদি বেশি বেতনের ভিসা সংগ্রহ করেন। তাহলে বেশি টাকা লাগবে। কম বেতনের ভিসা সংগ্রহ করলে কাতার যেতে টাকা কম লাগবে। বাংলাদেশ থেকে কাতার যেতে ওয়ার্ক পারমিট ভিসায় যেতে হবে। এবং টুরিস্ট ভিসায় যেতে হবে।
- কাজের ভিসায় ৩ লক্ষ থেকে ৭ লক্ষ টাকা যাওয়া যায়।
- টুরিস্ট ভিসায় ১ লাখ ৫০ হাজার থেকে তিন লক্ষ টাকায় যাওয়া যায়।
কাতার যেতে কি কি লাগে
বাংলাদেশ থেকে কাতার যেতে চাইলে ওই দেশের বৈধতা লাগবে। এজন্য সংগ্রহ করতে হবে ভিসা এবং পাসপোর্ট। ভিসা আবেদন করতে কি কি লাগে তা দেখে নিন।
- বৈধ পাসপোর্ট কমপক্ষে ৬ মাস মেয়াদ থাকতে হবে।
- ভিসা আবেদন পত্র।
- শিক্ষাগত সার্টিফিকেট যদি থাকে।
- কাজের দক্ষতার সার্টিফিকেট যদি থাকে।
- পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট।
- জাতীয় পরিচয় পত্র।
- ব্যাংক স্টেটমেন্ট।
কাতারে ফ্রি ভিসার দাম কত
ভিসা সংগ্রহে সর্তকতা অবলম্বন করতে হবে। বিশেষ করে এজেন্সি এবং দালানের ক্ষেত্রে। তারা প্রয়োজনের থেকে বেশি টাকা চায়। এবং সঠিক কাজের ভিসা দেয় না। যদি দালাল ফ্রি ভিসার দেওয়ার কথা বলে। তাহলে খেয়াল রাখতে হবে ফ্রি ভিসা পাওয়া অনেক কঠিন। কেননা ফ্রি ভিসার মাধ্যমে আপনি ইচ্ছামত যে কোন কোম্পানিতে কাজ করতে পারবেন। এজন্য সহজেই ফ্রি ভিসা সংগ্রহ করা যায় না। বাংলাদেশ থেকে কাতার ফ্রি ভিসায় যেতে চাইলে ৫ লক্ষ থেকে ৯ লক্ষ টাকা লাগতে পারে।
আরও দেখুনঃ বাংলাদেশ থেকে কাতার বিমান ভাড়া কত ও সময়সূচী
কাতার ভিসা দাম কত
সাধারণত নিজে থেকে ভিসা আবেদন করা যায়। এজন্য প্রয়োজন অভিজ্ঞতা এবং দক্ষতা। যদি এজেন্সির মাধ্যমে আবেদন করতে চান। তাহলে টাকা বেশি লাগবে। তবে কোন ধরনের জটিলতায় পড়তে হবে না। তবে এজেন্সি বা দালালের মাধ্যমে ভিসা সংগ্রহে সতর্ক থাকতে হবে।
- বাংলাদেশ থেকে কোম্পানি ভিসা কাতার যেতে ৩ লক্ষ থেকে ৪ লক্ষ টাকা লাগে।
- বাংলাদেশ থেকে কাতার ফ্রি ভিসায় ১ লক্ষ থেকে ১.৫ লক্ষ টাকা লাগে।
- বাংলাদেশ থেকে কাতার রেস্টুরেন্ট ভিসায় ৩ লক্ষ থেকে ৬ লক্ষ টাকা লাগে।
- বাংলাদেশ থেকে কাতার টুরিস্ট ভিসায় ১ লক্ষ ৫০ হাজার থেকে তিন লক্ষ টাকা লাগে।
কাতার ভিজিট ভিসা দাম কত
কাতার ভ্রমণ করতে চাইলে প্রয়োজন টুরিস্ট ভিসা। ভ্রমণ করতে চাইলে এজেন্সির মাধ্যমে আবেদন করতে হবে। আবেদনসহ অন্যান্য বিষয়ের উপর নির্ভর করে ২ লক্ষ থেকে ৩ লক্ষ টাকা লাগে। অনলাইনে আবেদন করতে পারলে এর থেকে কম টাকায় কাতার যাওয়া যায়।
কাতার কোম্পানি ভিসা বেতন কত
কাতার কোম্পানির ভিসা সংগ্রহ করে যেতে পারলে। কাজের ধরন অনুযায়ী বেতন পাওয়া যায়। এদেশেও সর্বোচ্চ এবং সর্বনিম্ন বেতন আছে। আপনি কোম্পানির ভিসায় কত টাকা রোজগার করতে পারবেন। তা নির্ভর করবে আপনি কোন ধরনের ভিসা সংগ্রহ করেছেন। যদি ভাল ভিসা সংগ্রহ করে থাকেন। তাহলে বেশি টাকা রোজগার করতে পারবেন। কাতার থেকে সর্বনিম্ন ৪০ হাজার থেকে ২ লক্ষ টাকা রোজগার করা যায়। এর থেকে ও বেশি টাকা রোজগার করা সম্ভব এক্ষেত্রে ভালো ভিসা সংগ্রহ করুন।
কাতার যেতে কত টাকা লাগে এবং কোম্পানির ভিসার বেতন কত উল্লেখ করা হয়েছে। আশা করা যায় এখান থেকে জানতে পেরেছেন এবং এই পোস্ট আপনাদের ভাল লেগেছে।