বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে বিখ্যাত কবিতা | ছোটদের বঙ্গবন্ধু কবিতা

১৭ মার্চ বাংলাদেশে জাতীয় শিশু দিবস ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিন পালন করা হয়। এই দিন উপলক্ষে সব জায়গায় বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে কবিতা আবৃতি প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। আপনারা যারা বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে বিখ্যাত কবিতা অনুসন্ধান করছেন। আপনাদের …

বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে বিখ্যাত কবিতা ছোটদের বঙ্গবন্ধু কবিতা

১৭ মার্চ বাংলাদেশে জাতীয় শিশু দিবস ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিন পালন করা হয়। এই দিন উপলক্ষে সব জায়গায় বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে কবিতা আবৃতি প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। আপনারা যারা বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে বিখ্যাত কবিতা অনুসন্ধান করছেন। আপনাদের জন্য আজকের পোস্টে বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে কবিতা দেওয়া হয়েছে। ছোটদের বঙ্গবন্ধু কবিতা যারা পেতে চান। তাদের জন্য ১৭ই মার্চ বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন উপলক্ষে সকল কবিতা দেওয়া হয়েছে।

বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে বিখ্যাত কবিতা

কবিতার নামঃ স্বাধীনতার ইতিহাস

স্বাধীনতার সচ্ছতা,
কী কেউ জানে।
জানতে হলে,
জানতে হবে তোমাকে।
তোমারই হাত ধরে স্বাধীনতা,
গল্পের শুরু থেকে শেষ।
তুমিই নায়ক,
তুমি মহান নেতা।
বায়ান্নর ভাষা আন্দোলন,
ছয় দফার দাবি।
কোথায় নেই তোমার অবদান,
তাহাই আমি খুজি।
খুজতে হলে যেতে হবে,
আন্দোলনের মর্মকে।
জেল-জুলুমের আগলভাঙা কর্মকে।
জানতে হবে হামলাকে,
আগরতলার মামলাকে।
খুজতে হবে ইতিহাস,
জানতে হবে স্বাধিকার।
বুঝতে হবে তোমায়,
ঘাঁটতে হবে তোমার ইতিহাস।

বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে কবিতা

কবিতার নামঃ বাংলার পতাকা

গগনে-বায়ুতে বইছে স্বাধীনতার ঘ্রাণ ,
চতুর্দিকে উরিতেছে বাংলার কেতন।
হাজারো ত্যাগ তিতিক্ষাতে,
তোমারই বাহুবলে এলো স্বাধীনতা।
তেইশে মার্চ প্রথম তোমারি হাত ধরে,
ধানমন্ডি বাসভবনে পতাকা উত্তলন।
চতুর্দিকে সবুজে গেঁড়া,
কেন্দ্র তাহার লাল রক্তপিণ্ড।
তোমারি ঘোষণায়,
২৩শে বাংলায়, পতাকা উত্তলন।
বাংলা পেল এক স্বাধীনতা,
স্বার্থক বাঙ্গালী, স্বার্থক জাতির পিতা।
বিলেতের গগনে কেতন উরে,
আঠারো এপ্রিল প্রথম,
ভারত হলেন ইতিহাসের সাক্ষি তাহার,
উরালেন বাংলার কেতন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলাভবন প্রাঙ্গণে,
২ মার্চ বাংলার গগনে,
বাংলার মানচিত্র খচিত পতাকা উরে।

বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে ছোট কবিতা

কবিতার নামঃ বৈষম্য

বৈষম্য কাকে বলে,
তুৃমি কী জানতে..?
পোশাক ছিলো এক রকমের,
বিছানা ছিল এক।
খাইতো সবাই এক টেবিলে।
ঘুমাইতো সবাই একসাথে,
ছিলোনা কোন ভেদাভেদ।
সবাই তো রক্ত মাংসে গড়া মানুষ।
রাষ্ট্রপতি তাতে কী।
আয়া, বুয়া সবাই তো মানুষ,
নেই তো কোন ভেদাভেদ।
তুমি তো শিখালে..?
শোদ হবেনা তাদের ঝন।
খাচ্ছি মোরা তাদের টাকায়,
টানছে গাড়ি তারা।
বলছিলে তুমি মোদের,
কিসের এতো বাহাদুরি দেখাই মোরা।

কবিতার নাম: “মুজিব আমার”

কবি: অনিন্দ্য ঈপ্সিতা

মুজিব আমার বক্ষদেশের বজ্র আহ্বান ,
যে নামের তরে শহিদ হল লক্ষ কোটি প্রাণ।
অকুতোভয় শ্রেষ্ঠ বাঙালির সুদৃঢ় তর্জনী;
সত্য কর্ম, সত্য ধর্ম, অমোঘ সত্য বাণী ।
নাচল আকাশ, কাঁপল বাতাস, হাসল মহাশূন্য-
উঠে লাঠিয়াল, ধরে মাঝি হাল, করে নাকো কার্পণ্য!
জননী মোদের জন্মভূমি, দর্পে গরিয়সী –
বীর সেনাদের দিয়েছো জন্ম,ধন্য তোমার নাড়ি।
নেই কোনো ক্ষয়, হয়েছে যে জয়;
“মুজিব- মুজিব” ,চির অম্লান, অক্ষয়!

বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে কবিতা

কবিতার নামঃ একুশে মুজীব

১৯৪৭ সেই থেকে শুরু।
মনে পরে বায়ান্নর আন্দোলন,
আজকের একুশে ফেব্রুয়ারি।
মুজিব তোমারই কারনে,
বাংলাতে কথা বলি।
কতো ত্যাগ, কতো কষ্ট,
কতো বার গিয়াছো কারাগারে।
কে-ই বা বলিতে পারে,
শুধু বাংলা ভাষারি কারনে।
তুমি কখনো ছিলে সামনে,
কখোন বা পিছনে,
কখনো বা কারাগারে।
তোমারি অবদান ছিলো সবখানে,
বাঙ্গালী কী তা ভুলিতে পারে।
বাঙ্গালী কী তা ভুলিতে পারে।
এ একুশ তোমার, মুজিব তোমার।
যতবার একুশ আসে,
মনে পরে সেই কষ্টর দিনগুলো।
চোখের পাতায় ভেসে উঠে বিষন্নতা।
বাংলা ভাষায় দাবির আন্দোলন,
ঘরে কী আর বসে থাকা যায়।
১০ মার্চ চলে এলে ঢাকায়,
ঘন্টা খানেক পরেই,
শুরু হলো হরতাল আনন্দোলন,
সামনে থেকে দিলে তার সমর্থন।
ধরে নিল পুলিশে,
তাতে কী আর দমে রাখা যায়।
নেতা তো নেতাই,
তাকে ছাড়া কী করে হয়।
১৯৪৮ , মুক্তির পর আবার শুরু,
ভাষা আন্দোলনের দিল ডাক।
রাষ্ট্র ভাষা বাংলা চাই।
১৬ মার্চ ভাষা আন্দোলনের সভায়,
এবার তিনি সভাপতি,
ছাত্র, জনতা,কৃষক, মজুর
একটাই সবার দাবি।
রাষ্ট্র ভাষা বাংলা চাই।
বায়ান্নর একুশে ফেব্রুয়ারি,
এবারো সবার সামনে তিনি।
হঠাৎ করে এক ঝাঁক বুলেট,
কেরে নিলো জীবন।
রফিক, জব্বার, বরকত,
শহিদ হলেন,
দিয়ে গেলেন এক বুক তাজা রক্ত।
মেনে নিলো সরকার,
আমরা পেলাম বাংলা ভাষা,
মায়ের মুখের মিষ্টি কথা।

বঙ্গবন্ধু সম্পর্কে কবিতা

কবিতার নামঃ ফাল্গুনী মুজিব

যদি এই ফাল্গুনীর,
নতুন পাতার সাথে,
তুমি আবার ফিরে এতে,
নতুন ফুলের মাঝে।
সৌরভ সরাতে,
ফুলের মতো করে।
তাবে আজ,
পূর্নতা পেত মোদের ফাল্গুনী।
আজ এই ফাল্গুনে,
হাজারো ফুলের গ্রানে মন মাতয়ারা।
নতুন গাছের বাহারি পাতা,
চারিপাশে সবুজের সমহার।
হাজারো পাখির গান।
কে যেন ডাকছে মুজিব তোমায়,
কচি পাতার মনোহর।
তুমি থাকো রোজ ফাল্গুনীতে,
হাজারো কবির কন্ঠে।
তোমায় খুজে ফিরি,
হাজারো গানের ছন্দে।
লাখো বাঙ্গালির হৃদয় তুমি,
ফোট ফাল্গুনীর জবা হয়ে।
আছো তুমি আমাদের,
হৃদয়ে আঙ্গিনাতে।
থাকবে তুমি চিরকাল,
আমাদের মাঝে।

বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে কবিতা আবৃত্তি

কবিতার নামঃ হারানো দিনগুলো

মোদের থেকে হারিয়ে গেছে বঙ্গবন্ধু,
হারিয়ে গেছে বীর নেতা।
বুকের মাঝে আজও
রয়েছে হাজার ব্যাথা,
চলে আসো মোদের মাঝে
আগের মতো করে,
আগের মতো হারিয়ে যাওয়া
মেঠো পথ ধরে।
সূর্য যখন ডুব দিয়েছে
গোধূলির অস্তরাগে,
ফিরে আসো মোদের মাঝে,
আলাপ জমাই নতুন কিছু নিয়ে
পথের পরে শালিক যেথায়,
কিচির মিচির করে।
তোমার তরে মনটা আমার
ব্যাকুল হয়ে মরে।
দিনের শেষে নামতো যেথায়
গভীর অন্ধকার,
সাঁঝের প্রদীপ জ্বলতো সেথায়
তুলসি তলার পর।
চলে আসো তুমি মোদের মাজে
আগের মতো করে,
রাঙা মাটির পথের ধুলো
রাঙিয়ে দিবো তোমার দু-পায়ে।

ছোটদের বঙ্গবন্ধু কবিতা

কবিতার নামঃ বঙ্গবন্ধু

দাদুর কাছে শুনেছিলাম

বঙ্গবন্ধুর নাম-

টুঙ্গি পাড়ায় জন্ম তাহার

খোকা আদুরে নাম।

ছোট থেকেই দেশের প্রতি

খোকার ছিলো টান,

বড় হয়ে তিনিই হলেন

বাংলাদেশের প্রাণ।

জন্ম দিলো একটি জাতি

একটি নতুন দেশ,

সারা বিশ্ব অবাক হলো

সাবাস বাংলাদেশ।

কবিতার নামঃ কাউকে ঠুকি সেলাম কী

স্বাধীনতা কী দিয়েছে
কে করে এই উচ্চারণ?
সে কখনো দেশপ্রেমিক নয়
তার বিরুদ্ধে সোচ্চার হন।স্বাধীনতার লড়াই করে
মেনে নিতাম যদি হার
ভাবো দেখি আজ অবধি
থাকত হাতে গদি কার?গদি যদি থাকত হাতে
পাকিস্তানি শাসকের
থাকতে হত গোলাম হয়ে
ওই হারামি নাশকের।স্বাধীনতা না অর্জিলে
হওয়া যেত বাঙালি?
থেকে যেতাম সারাজীবন
পরাধীন আর কাঙালি।বলতে পারো স্বাধীন হয়ে
স্বাধীন দেশে পেলাম কী?
তেমন কিছু না পেলেও
কাউকে ঠুকি সেলাম কী?

আশা করি আজকের পোস্ট থেকে বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে বিখ্যাত সব কবিতা সংগ্রহ করতে পেরেছেন। ১৭ই মার্চ জাতীয় শিশু দিবস সম্পর্কে কবিতা পেতে আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করুন। ছোটদের বঙ্গবন্ধু কবিতা সবার সাথে শেয়ার করতে ভুলবেন না।

আরও দেখুনঃ

17 ই মার্চের কবিতা | বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন নিয়ে কবিতা ২০২৪

১৭ মার্চ বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন উপলক্ষে ভাষণ | ১৭ ই মার্চের বক্তব্য

বঙ্গবন্ধুর জন্মদিনের শুভেচ্ছা স্ট্যাটাস, উক্তি ও ক্যাপশন

Leave a Comment