ঠান্ডা কাশির ঔষধের নাম | শিখে নিন ঠান্ডা কাশি দূর করার ঘরোয়া উপায়

আমাদের দেশে ঠান্ডা কাশি খুবই সাধারণ একটি সমস্যা। ঠান্ডা কাশি সাধারণত আবহাওয়ার পরিবর্তনে হয়ে থাকে। ঠান্ডা কাশি সাধারণ সমস্যা হলেও এটি ভয়াবহ রূপ ধারণ করতে পারে। আজকের আর্টিকেলে ঠান্ডা কাশির ঔষধের নাম, সিরাপের নাম, ক্যাপসুল …

ঠান্ডা কাশির ঔষধের নাম

আমাদের দেশে ঠান্ডা কাশি খুবই সাধারণ একটি সমস্যা। ঠান্ডা কাশি সাধারণত আবহাওয়ার পরিবর্তনে হয়ে থাকে। ঠান্ডা কাশি সাধারণ সমস্যা হলেও এটি ভয়াবহ রূপ ধারণ করতে পারে। আজকের আর্টিকেলে ঠান্ডা কাশির ঔষধের নাম, সিরাপের নাম, ক্যাপসুল এর নাম, উপসর্গ এবং ঘরোয়া পদ্ধতিতে সমাধান সমস্ত কিছু সম্পর্কে জানতে পারবো।

ঠান্ডা কাশি ওষুধের নাম

ঠান্ডা কাশি সাধারণ হলেও এটি সকল রোগের উপসর্গ হিসাবে কাজ করতে পারে। সাধারণ কাশি থেকে যক্ষ্মা পর্যন্ত হতে পারে এবং সাধারণ ঠান্ডা থেকে নিউমোনিয়া পর্যন্ত হতে পারে। সুতরাং ঠান্ডা কাশি দ্রুত নিরাময় করা উচিত।

  • Carva 75
  • Cefotil
  • Cefotil plus
  • Cinaron
  • Cinaron plus
  • Adolef
  • Remocof
  • Adovas
  • E-cof
  • Fexo 60
  • Dslor
  • Ace plus
  • Napa extand
  • Flamex 400
  • Metril
  • Histacin
  • Histalex
  • Histanol
  • Histin
  • টফেন

সতর্কতা: অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া ওষুধ সেবন করবেন না।

ঠান্ডা কাশির ক্যাপসুল এর নাম

বিভিন্ন ক্ষেত্রে ট্যাবলেটের সেই ক্যাপসুল অতি তাড়াতাড়ি কাজ সম্পন্ন করে। প্রায় দ্রুত ঠান্ডা আকাশে থেকে পরিত্রাণ পেতে পরামর্শ দিয়ে থাকেন। নিচে বেশ কিছু ক্যাপসুল এর নাম দেওয়া হলো:

  • Ambrox SR 75mg
  • Acorex 30mg
  • Ambeet 75mg
  • Ambozin SR 75mg
  • Ambroxol SR 75mg

ঠান্ডা কাশির সিরাপের নাম

যারা ক্যাপসুল খেতে পারেন না বা ট্যাবলেট সেবন করতে পারেন না। বিশেষ করে বাচ্চাদের ক্ষেত্রে চিকিৎসকরা সিরাপের পরামর্শ দিয়ে থাকে।

  • Ambrox
  • Adovas
  • Tusca Plus
  • Boxol
  • Ambolit
  • Dexpoten
  • Sudocof
  • Ocof

ঠান্ডার উপসর্গ

ঠান্ডা কাশি খুবই সাধারণ রোগ তাই সবার এর উপসর্গ সম্পর্কে জানা উচিত।

  • ১. ঠান্ডার সর্বপ্রথম উপসর্গ হচ্ছে অঝোরে নাক দিয়ে পানি পড়া।
  • ২. কোন কিছুর গন্ধটির না পাওয়া।
  • ৩. শরীর গরম বা জ্বর অনুভূত হওয়া।
  • ৪. নাক বন্ধ থাকার কারণে নিঃশ্বাসে সমস্যা হওয়া।
  • ৫. এবং হালকা থেকে প্রচন্ড পরিমাণ মাথাব্যথা হওয়া।

উপরের উল্লেখিত উপসর্গ গুলো দেখলে যথা সম্ভব চিকিৎসকের কাছ থেকে চিকিৎসা নেওয়া উচিত।

ঠান্ডা বা সর্দি কি

সাধারণত বিভিন্ন ধরনের ভাই*রাসজনিত কারণে ঠান্ডা আবার সর্দি হয়ে থাকে। শ্বাসযন্ত্রে বিভিন্ন প্রকার ভাই*রাসের আক্রমণে ঠান্ডা বা সর্দি হয়ে থাকে। বিভিন্ন সময় আবহাওয়া জনিত কারণেও শরীরে ইমিউনিটি কমে যাওয়ার কারনে সর্দি হয়ে থাকে। সর্দি থেকে বা ভাই*রাস জনিত কারণে নিমুনিয়া, করো*না ভাই*রাস, ইনফ্লুয়েঞ্জা, প্যারাইনফ্লুয়েঞ্জা ইত্যাদি রোগ হয়ে থাকে। তাই সর্দি হলে যত দ্রুত সম্ভব চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে ওষুধ সেবন করতে হবে।

কাশি কি কারণে হয়ে থাকে?

কাশি একটি ব্যাকটেরিয়াজনিত রোগ। বিভিন্ন ধরনের ভাই*রাস ব্যাকটেরিয়া আক্রমণের ফলে শরীরের ইউনিটি কমে যাওয়ার কারণে কাশি হয়ে থাকে। অনেক সময় এলার্জিজনিত কারণে কাশি হয়ে থাকে। অনেকের ধুলোবালি এবং আবহাওয়া পরিবর্তনের কারণে কাশি হয়ে থাকে। অনেক কম বুকে শ্লেষা হিসেবে জমে থাকে। কাশি তিন সপ্তাহের অধিক সময় ধরে হলে যত সম্ভব দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে এবং কফ পরীক্ষা করে নিশ্চিত হতে হবে যক্ষা হয়েছে কিনা।

ঠান্ডা কাশির ঘরোয়া চিকিৎসা

ঠান্ডা কাশি যেহেতু সাধারন একটি সমস্যা তাই আমাদের ঘরের বিভিন্ন উপাদান দিয়ে ঠান্ডা কাশি থেকে পরিত্রাণ পাওয়া সম্ভব।

তুলসী পাতা: ঠান্ডা কাশি থেকে পরিত্রাণ পেতে সর্বপ্রথম যে উপাদানের নাম মনে পড়ে সেটি হল তুলসী পাতা। এটি আমাদের গ্রামবাংলা বহুল প্রচলিত। তুলসী পাতার রস বিভিন্ন ধরনের ঠান্ডা কাশি গলা ব্যথা সহজ বিভিন্ন ধরনের রোগের নিরাময়ে সাহায্য করে। কয়েকটা তুলসী পাতা গাছ থেকে ছিঁড়ে কিছুটা পানির সাথে বেটে রস করে নিয়ে খেলে ঠান্ডা কাশি থেকে পরিত্রাণ সম্ভব।

কালোজিরা: সকল রোগের ওষুধ হিসাবে পরিচিত কালোজিরা। কারো জিরা বেটে কিংবা ভেজে কিংবা কাঁচা যে কোন উপায় খেলে খুব দ্রুত ঠান্ডা কাশি থেকে পরিত্রাণ পাওয়া সম্ভব।

আদা: ঠান্ডা কাশি থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য আদার রস কিংবা কাচা আদা খাওয়া যেতে পারে এতে খুবই দ্রুত ঠান্ডা কাশি সেরে যায় গরম পানি কিংবা চায়ের সাথে আদা খাওয়া যেতে পারে।

গরম পানি: গরম পানির সাথে সামান্য পরিমাণ লবণ মিশিয়ে সকাল রাতে গারগাল করলে কাশি থেকে এবং গলা ব্যথা থেকে আরাম পাওয়া যায়

ঠান্ডা কাশি নিয়ে কিছু প্রশ্ন ও উত্তর

প্রশ্ন ১: ঠান্ডা কাশি কী?

উত্তর: ঠান্ডা কাশি হলো একটি সাধারণ অসুস্থতা যা সাধারণত ভাই*রাসের কারণে হয়। এটি গলা ব্যথা, নাক দিয়ে পানি পড়া, এবং কাশির লক্ষণ দ্বারা চিহ্নিত করা হয়।

প্রশ্ন ২: ঠান্ডা কাশি কেন হয়?

উত্তর: ঠান্ডা কাশি সাধারণত ভাই*রাসের কারণে হয়, যেমন রিনোভাই*রাস, অ্যাডেনোভাই*রাস, বা ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাই*রাস। এই ভাই*রাসগুলি নাক, গলা, এবং শ্বাসনালীর শ্লেষ্মা ঝিল্লিকে সংক্রমিত করে। সংক্রমণের ফলে শ্লেষ্মা তৈরি হয় এবং কাশির উদ্দীপনা হয়।

প্রশ্ন ৩: ঠান্ডা কাশি এর লক্ষণ কী কী?

উত্তর: ঠান্ডা কাশি এর লক্ষণগুলির মধ্যে রয়েছে:

  • গলা ব্যথা
  • নাক দিয়ে পানি পড়া
  • কাশি
  • মাথাব্যথা
  • শরীর ব্যথা
  • ক্লান্তি

প্রশ্ন ৪: ঠান্ডা কাশি এর চিকিৎসা কী?

উত্তর: ঠান্ডা কাশি এর কোনো নির্দিষ্ট চিকিৎসা নেই। চিকিত্সা সাধারণত লক্ষণগুলির চিকিৎসার উপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করে।

  • ব্যথানাশক ওষুধ: ব্যথা এবং অস্বস্তি কমাতে ব্যথানাশক ওষুধ ব্যবহার করা যেতে পারে।
  • কাশি উপশমকারী: কাশি কমাতে কাশি উপশমকারী ব্যবহার করা যেতে পারে।
  • জল দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলা: শ্লেষ্মা পাতলা করতে এবং গলা ব্যথা কমাতে জল দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলা গুরুত্বপূর্ণ।
  • পর্যাপ্ত বিশ্রাম: শরীরকে সুস্থ হতে সময় দিতে পর্যাপ্ত বিশ্রাম নেওয়া গুরুত্বপূর্ণ।

প্রশ্ন ৫: ঠান্ডা কাশি থেকে কীভাবে সুরক্ষিত থাকবেন?

উত্তর: ঠান্ডা কাশি থেকে সুরক্ষিত থাকার জন্য নিম্নলিখিত পদক্ষেপগুলি নেওয়া যেতে পারে:

  • হাত ধোয়া: প্রায়শই এবং ভালভাবে হাত ধোয়ার মাধ্যমে ভাই*রাস ছড়ানো থেকে নিজেকে রক্ষা করতে পারেন।
  • অসুস্থ ব্যক্তিদের থেকে দূরে থাকা: অসুস্থ ব্যক্তিদের থেকে দূরে থাকা ভাই*রাস সংক্রমণ প্রতিরোধ করতে সাহায্য করতে পারে।
  • মুখ ঢেকে রাখা: কাশি বা হাঁচির সময় মুখ ঢেকে রাখা ভাই*রাস ছড়ানো থেকে অন্যদের রক্ষা করতে সাহায্য করতে পারে।

প্রশ্ন ৬: ঠান্ডা কাশি এর জটিলতা কী কী?

ঠান্ডা কাশি এর কয়েকটি জটিলতা হতে পারে, যার মধ্যে রয়েছে:

  • Neumonia: Neumonia একটি গুরুতর জটিলতা যা শ্বাসকষ্ট এবং জ্বর হতে পারে।
  • টনসিলাইটিস: টনসিলাইটিস হলো টনসিলের সংক্রমণ যা গলা ব্যথা এবং জ্বর হতে পারে।
  • অ্যাডেনয়েডাইটিস: অ্যাডেনয়েডাইটিস হলো অ্যাডেনয়েডের সংক্রমণ যা নাক দিয়ে পানি পড়া এবং শ্বাসকষ্ট হতে পারে।

প্রশ্ন ৭: ঠান্ডা কাশি কখন ডাক্তারের কাছে যাওয়া উচিত?

ঠান্ডা কাশি সাধারণত কয়েক সপ্তাহের মধ্যে চলে যায়। তবে, যদি আপনার নিম্নলিখিত লক্ষণগুলি থাকে তবে ডাক্তারের কাছে যাওয়া উচিত:

  • কাশি দুই সপ্তাহের বেশি স্থায়ী হয়
  • কাশির সাথে র*ক্ত আসে
  • জ্বর ১০২ ডিগ্রি ফারেনহাইটের বেশি হয়
  • শ্বাসকষ্ট হয়
  • গলা ব্যথা খুব বেশি হয়
  • শিশুর ক্ষেত্রে, খাওয়া বা পান করা কঠিন হয়

পরিশেষে কিছু কথা

কোন রোগ কেই ছোট হিসেবে দেখা উচিত নয়। ঠান্ডা কাশি খুবই সাধারণ একটি রোগ হলেও এ থেকে বড় ধরনের রোগ হতে পারে। তাই ঠান্ডা কাশি হলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে ওষুধ সেবন করতে হবে। আজকের আর্টিকেলে আশা করি ঠান্ডা আকাশের ঔষধ সম্পর্কে ধারণা দিতে পেরেছি। এতদূর মনোযোগ সহকারে পড়ার জন্য ধন্যবাদ।

আরও দেখুনঃ

টনসিল এর ঔষধ | গলা ব্যাথার ঔষধের নাম ও ঘরোয়া চিকিৎসা

এলার্জি ঔষধ এর নাম বাংলাদেশ ২০২৩ | এলার্জির সবচেয়ে ভালো ঔষধ

Fexo 120 এর কাজ কি? খাওয়ার নিয়ম, পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া ও সর্তকতা

Leave a Comment