চুলকানি দূর করার ক্রিম ও ঔষধ এর নাম ২০২৪

সবাইকে জানাই টিপস পোকা ডট কম এর পক্ষ থেকে আন্তরিক শুভেচ্ছা। আশা করি আল্লাহর রহমতে সবাই সুস্থ আছেন। চলুন শুরু করা যাক আজকের টপিক চুলকানি নিয়ে। চুলকানি শব্দটি শুনলে অনেকের গা চুলকে ওঠে। আমাদের আশেপাশে চুলকানি রোগের রোগীর সংখ্যা অসংখ্য বললেই চলে। আজকের ব্লগটি পরে আশা করি আপনার অনেক উপকৃত হবেন,বিশেষ করে যাদের চুলকানি সমস্যাটি রয়েছে। আজকে আমরা জানবো চুলকানি কেন হয়, চুলকানির ধরনসমূহ, চুলকানি রোধের মেডিসিন গুলোর নাম সমূহ, ঘরোয়া পদ্ধতি চুলকানির দুধের উপায়।

চুলকানি হওয়ার কারণ

চুলকানি মূলত চারটি বেসিক কারণে হয়ে থাকে।

• ১।চামড়ার গঠনগত পরিবর্তনের জন্য।
• ২।নার্ভ সিস্টেমের সমস্যার জন্য।
• ৩।সাইকোজেনিক সমস্যার জন্য।
• ৪।নিউরোলজিক সমস্যার জন্য।

এছাড়াও চুলকানির নানা কারণে হয়ে থাকে। চুলকানি রোগের সংস্পর্শে গেলে, কিছু কিছু খাবারের জন্য চুলকানি দেখা দেয়। আবার কিছু গাছের সংস্পর্শে গেলে চুলকানি হতে পারে। আমাদের দেহে নানা ধরনের চুলকানি হয়ে থাকে। যেমন : এলার্জিজনিত চুলকানি, ত্বক চুলকানি, মাথা চুলকানি, চোখ চুলকানি, ছেলে মেয়ে উভয়ের গোপ*নাঙ্গে চুলকানি আরো নানা ধরনের চুলকানি রয়েছে।

চুলকানির ট্যাবলেট সমূহের নাম

• Sendo
• Atarax 25mg
• Oradin
• Alatrol
• Darma 50

চুলকানি দূর করার ঔষধের নাম

• Fexo 120
• Alatrol
• Safi
• Ebatin
• Oradin
  চুলকানির মলমের নাম:
• Fungidal-HC cream
• Togent
• Ezex
• Antifungal

এলার্জি চুলকানি দূর করার উপায়

চুলকানির দূর করার কিছু ঘরোয়া পদ্ধতি রয়েছে। ঘরের উপাদান দিয়ে আপনার চুলকানি দূর করতে পারবেন।

নিমপাতা

চুলকানি বা অন্যান্য খোসপোসড়া জাতীয় রোগের জন্য অত্যন্ত কার্যকর একটু উপাদান হচ্ছে নিমপাতা। নিমপাতা ভালোভাবে ধুয়ে পরিষ্কার করে পিষে নিন। এবার আপনার চুলকানো স্থানে নিম পাতার পেস্ট লাগিয়ে নিন । তাছাড়া আপনি নিমপাতা সেদ্ধ পানি দিয়ে গোসল করে নিতে পারেন। এতে আপনার দেহে সমস্ত চুলকানি কমে যাবে।

অ্যালোভেরা

এলোভেরা খুবই সহজলভ্য একটি উপাদান। বাসা বাড়ির ছাদে অথবা বাজারে গেলে খুব সহজে অ্যালোভেরা পেয়ে যাবেন। একটি তাজা এলোভেরার পাতা নিন। পাতা থেকে এলোভেরা জেল বা রস বের করে আপনার চুলকানিস্থানে লাগিয়ে নিন। দেখবেন আপনার চুলকানি দ্রুত কমে যাচ্ছে।

নারিকেল তেল

নারিকেল তেল আমাদের সবার পাশেই থাকে। আমরা জানি নারকেল তেল চুলের পুষ্টি জন্য। চুলের পুষ্টি যোগানো ছাড়াও নারিকেল তেলের আরো কিছু গুনাগুন রয়েছে। চুলকানি স্থানে বা কোন পোকামাকড় কামড় দিলে উক্ত স্থানে নারিকেল তেল লাগালে চুলকানি ও ব্যথা উপশম হয়।

লেবুর রসঃ

লেবুর রস চুলকানির জন্য বিশেষ উপাদান। একটি লেবুর রস করে নিন। চুলকানি স্থানে লেবুর রস লাগিয়ে রস শুকানো পর্যন্ত অপেক্ষা করুন। ইনশাল্লাহ চুলকানি অনেক অংশে কমে যাবে।

চুলকানি দূর করার ক্রিম

চুলকানি দূর করার জন্য অনেক ধরনের ক্রিম ও ঔষধ রয়েছে। কিছু জনপ্রিয় ক্রিম ও ঔষধের নাম হল:

• অ্যালোভেরা ক্রিম
• ক্যালামাইন ক্রিম
• বেটামেথ্যাসোন ক্রিম
• হাইড্রোকর্টিসোন ক্রিম
• বেনজিল পারঅক্সাইড ক্রিম
• স্যালিসিলিক অ্যাসিড ক্রিম
• ক্লোরহেক্সিডিন ক্রিম

চুলকানি দূর করার ঔষধ

• অ্যান্টিহিস্টামিন
• অ্যান্টিবায়োটিক

ওষুধী গাছ

চুলকানির কারণ অনুযায়ী ক্রিম বা ঔষধ নির্বাচন করা উচিত। যেমন, অ্যালার্জির কারণে চুলকানি হলে অ্যান্টিহিস্টামিন, ছত্রাকজনিত সংক্রমণের কারণে চুলকানি হলে অ্যান্টিবায়োটিক। এবং ত্বকের শুষ্কতার কারণে চুলকানি হলে ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করা যেতে পারে।

চুলকানি দূর করার জন্য নিম্নলিখিত ঘরোয়া প্রতিকারগুলিও কার্যকর হতে পারে:

• ঠান্ডা জল দিয়ে ত্বক ধুয়ে ফেলা
• লোশন বা ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করা
• অ্যালোভেরা জেল ব্যবহার করা
• ক্যালামাইন লোশন ব্যবহার করা
• ঠান্ডা চা বা দুধে ভিজিয়ে রাখা কাপড় দিয়ে ত্বক মুছে ফেলা

যদি চুলকানি তীব্র হয় বা দীর্ঘস্থায়ী হয় তবে একজন ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করা উচিত।

চুলকানি দূর করার কিছু টিপস

• ত্বককে পরিষ্কার রাখুন।
• ত্বককে ঘষবেন না।
• সংকীর্ণ পোশাক পরবেন না।
• অ্যালার্জেন এড়িয়ে চলুন।
• পর্যাপ্ত পরিমাণে জল পান করুন।
• স্বাস্থ্যকর খাবার খান।

কিছু প্রশ্ন ও উত্তর

প্রশ্ন: চুলকানি দূর করার জন্য কোন ধরনের ক্রিম ও ঔষধ ব্যবহার করা যেতে পারে?

উত্তর: চুলকানির কারণ অনুযায়ী বিভিন্ন ধরনের ক্রিম ও ঔষধ ব্যবহার করা যেতে পারে। কিছু জনপ্রিয় ক্রিম ও ঔষধের নাম হল:

ক্রিম: অ্যালোভেরা ক্রিম, ক্যালামাইন ক্রিম, বেটামেথ্যাসোন ক্রিম, হাইড্রোকর্টিসোন ক্রিম, বেনজিল পারঅক্সাইড ক্রিম, স্যালিসিলিক অ্যাসিড ক্রিম, ক্লোরহেক্সি ডিন ক্রিম

ঔষধ: অ্যান্টিহিস্টামিন, অ্যান্টিবায়োটিক, ওষুধী গাছ

প্রশ্ন: চুলকানির কারণ অনুযায়ী কোন ধরনের ক্রিম ও ঔষধ ব্যবহার করা উচিত?

উত্তর: চুলকানির কারণ অনুযায়ী ক্রিম ও ঔষধ নির্বাচন করা উচিত। যেমন, অ্যালার্জির কারণে চুলকানি হলে অ্যান্টিহিস্টামিন, ছত্রাকজনিত সংক্রমণের কারণে চুলকানি হলে অ্যান্টিবায়োটিক, এবং ত্বকের শুষ্কতার কারণে চুলকানি হলে ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করা যেতে পারে।

প্রশ্ন: চুলকানি দূর করার জন্য ঘরোয়া প্রতিকারের মধ্যে কোনগুলো কার্যকর?

উত্তর: চুলকানি দূর করার জন্য নিম্নলিখিত ঘরোয়া প্রতিকারগুলিও কার্যকর হতে পারে:

• ঠান্ডা জল দিয়ে ত্বক ধুয়ে ফেলা
• লোশন বা ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করা
• অ্যালোভেরা জেল ব্যবহার করা
• ক্যালামাইন লোশন ব্যবহার করা
• ঠান্ডা চা বা দুধে ভিজিয়ে রাখা কাপড় দিয়ে ত্বক মুছে ফেলা

প্রশ্ন: চুলকানি তীব্র হলে বা দীর্ঘস্থায়ী হলে কী করা উচিত?

উত্তর: যদি চুলকানি তীব্র হয় বা দীর্ঘস্থায়ী হয় তবে একজন ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করা উচিত। ডাক্তার চুলকানির কারণ নির্ণয় করে তার জন্য উপযুক্ত চিকিৎসার পরামর্শ দিতে পারবেন।

প্রশ্ন: চুলকানি দূর করার জন্য কিছু টিপস কী?

উত্তর: চুলকানি দূর করার জন্য নিম্নলিখিত টিপসগুলি অনুসরণ করা যেতে পারে:

• ত্বককে পরিষ্কার রাখুন।
• ত্বককে ঘষবেন না।
• সংকীর্ণ পোশাক পরবেন না।
• অ্যালার্জেন এড়িয়ে চলুন।
• পর্যাপ্ত পরিমাণে জল পান করুন।
• স্বাস্থ্যকর খাবার খান।

উপরোক্ত আলোচনার মাধ্যমে আশা করি আপনারা উপকৃত হবেন। চুলকানি বিষয়ে বিস্তারিত ধারণা নিতে পেরেছেন এবং মেডিসিন ছাড়া ঘরোয়া পদ্ধতিতে চুলকানি নিরাময়ের ব্যাপারে জানতে পেরেছেন। আপনার কোন ধরনের চুলকানি রয়েছে ও কি মেডিসিন ব্যবহার করছেন তা কমেন্ট বক্সে জানান। বিশেষ দ্রষ্টব্য: ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া কোন ধরনের ঔষধ ব্যবহার করবেন না, ধন্যবাদ।

আরও দেখুনঃ

Fexo 120 এর কাজ কি? খাওয়ার নিয়ম, পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া ও সর্তকতা

এলার্জি ঔষধ এর নাম বাংলাদেশ ২০২৪ | এলার্জির সবচেয়ে ভালো ঔষধ