ডক্সিসাইক্লিন ১০০ এর কাজ কি | জানুন খাওয়ার নিয়ম, পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ও মূল্য

টিট্রাইক্লাইনাইন গ্রুপের ওষুধ গুলোর মধ্যে ডক্সিসাইক্লিন ১০০ এম জি ক্যাপসুল অন্তর্ভুক্ত। এই ক্যাপসুলটি ব্যাকটেরিয়াজনিত বিভিন্ন রোগের বিরুদ্ধে কাজ করে। এই ক্যাপসুলটি সাধারণত ব্যাকটেরিয়ার প্রোটিন তৈরি থেকে বাধা দেয়। এই আর্টিকেলে আজ আমরা ডক্সিসাইক্লিন ১০০ এম …

ডক্সিসাইক্লিন ১০০ এর কাজ কি

টিট্রাইক্লাইনাইন গ্রুপের ওষুধ গুলোর মধ্যে ডক্সিসাইক্লিন ১০০ এম জি ক্যাপসুল অন্তর্ভুক্ত। এই ক্যাপসুলটি ব্যাকটেরিয়াজনিত বিভিন্ন রোগের বিরুদ্ধে কাজ করে। এই ক্যাপসুলটি সাধারণত ব্যাকটেরিয়ার প্রোটিন তৈরি থেকে বাধা দেয়। এই আর্টিকেলে আজ আমরা ডক্সিসাইক্লিন ১০০ এম জি ক্যাপসুল খাওয়ার নিয়ম, পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া কিভাবে কাজ করে এ সম্পর্কে জানতে পারবো।

ডক্সিসাইক্লিন ১০০ এর কাজ কি

ডক্সিসাইক্লিন ১০০ এম জি ক্যাপসুল এটি খুবই জনপ্রিয় একটি ক্যাপসুল। এই ক্যাপসুলটি সাধারণত ব্যাকটেরিয়ার বৃদ্ধিকে প্রতিরোধ করে থাকে। এই ক্যাপসুলটি বিভিন্ন ধরনের ব্যাকটেরিয়াল ইনফেকশন জাতীয় রোগের চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়। যেমন : অন্ত্র, ত্বক, শ্বাসযন্ত্র, মূত্রনালী ও চোখের সংক্রামণ সহ ম্যালেরিয়া রোগের বিরুদ্ধেও এই ক্যাপসুলটি কাজ করে।

ডক্সিসাইক্লিন কিসের ঔষধ

ডক্সিসাইক্লিন একটি অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধ যা ব্যাকটেরিয়া ও নির্দিষ্ট কিছু পরজীবী দ্বারা সৃষ্ট সংক্রমনের চিকিৎসায় ব্যবহার করা হয়। আপনার যদি ভিক্টোরিয়াল ইনফেকশন হয়ে থাকে তাহলে আপনি এই ওষুধটি ব্যবহার করতে পারেন। আশা করছি এই ওষুধ সেবন করে আপনি অতি দ্রুত সুস্থ হতে পারবেন।

ডক্সিসাইক্লিন খাওয়ার নিয়ম

এই ওষুধটি খালি পেটে খাওয়া উত্তম। খাবারের কমপক্ষে এক ঘন্টা আগে কিংবা খাওয়ার দু’ঘণ্টা পরে সাধারণত এই ওষুধ গ্রহণ করতে হয়। ওষুধ গ্রহণের পর পর হাঁটাচলা না করার জন্য বলা হয়ে থাকে। ওষুধ গ্রহণের পর দশ মিনিটের জন্য শুয়ে থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়। এই ওষুধটি সাধারণত ডোস হিসেবে দেওয়া হয়। সাধারণত চিকিৎসার অবস্থান, ওজন, বয়স ও খাবার খাওয়ার উপর ভিত্তি করে এই ড্রাগ কি দেওয়া হয়। এই ওষুধ সাধারণত দু বেলা দেওয়া হয়ে থাকে। সাধারণ ডোজে প্রথম সাত থেকে ১০ দিন ১০০ মিলিগ্রাম। মূত্রনালী গুরুতর সংক্রামিত হলে দশদিনের জন্য দুবেলা।

ডক্সিসাইক্লিন এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া

সকল ধরনের ক্যাপসুল ঔষধ খাওয়ার আগে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। ডক্সিসাইক্লিন ১০০ এম জি এই ক্যাপসুলটির কিছু পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া রয়েছে। যেমন :

  • ডায়রিয়া
  • বমি
  • প্রচন্ড মাথা ব্যথা
  • ত্বকের এলার্জি
  • জ্বালাপোড়া
  • পেট ব্যথা

এবং অল্পবয়সী গর্ভবতী মহিলাদের হাড়ের বিকাশের স্থায়ী সমস্যা হতে পারে।

ডক্সিসাইক্লিন ১০০ এম জি ক্যাপসুল যেভাবে কাজ করে

এই ক্যাপসুলটি একটি ট্রেটাসাইক্লিন অ্যান্টিবায়োটিক। এটিকে সাধারণত ব্যাকটেরিওস্ট্যাটিক অ্যান্টিবায়োটিকও বলা হয়। এটি স্বভাবগতভাবেই ব্যাকটেরিয়া বংশবৃদ্ধি প্রতিরোধ করে। তবে এটি বিশেষত স্ট্যাফিলোকক্কাস অরিয়াস ও নোকার্ডিয়ার এর বিরুদ্ধে বেশি সক্রিয়। যার ফলে ব্যাকটেরিয়াগুলো ৭০ থেকে ৯০% ডক্সিসাইটোলিনের প্রতি সংবেদনশীল।

ডক্সিসাইক্লিন এর দাম

অনেকে আছেন যারা ডক্সিসাইক্লিন এর দাম অনুসন্ধান করছেন। আপনাদের জন্য এখানে উল্লেখ করা হয়েছে ডক্সিসাইক্লিন ১০০ এমজি এর দাম।

ডক্সিসাইক্লিন ১০০ এর দাম

ডক্সিক্যাপ ১০০ এমজি বাংলাদেশী টাকায় প্রায় প্রতিটি ট্যাবলেটের মূল্য ২ টাকা ২০ পয়সা। ২২০ ট্যাবলেটের প্যাকেট কিনতে গেলে আপনাকে ২২০ টাকা দিতে হবে। পাইকারি দরে কিনলে আপনি কিছুটা কম দামে পাবেন।

ডক্সিক্যাপ ৫০ এমজি বাংলাদেশী টাকায় প্রতিটি ট্যাবলেটের দাম ১ টাকা ৪২ পয়সা। আপনি যদি 50 টি ট্যাবলেটের প্যাকেট কিনে তাহলে আপনাকে ৭১ টাকা দিতে হবে।

সর্বশেষ কিছু কথা

আজকে আর্টিকেল থেকে আশা করি ডক্সিসাইক্লিন ১০০ এম জি ক্যাপসুল তুই কি কাজে ব্যবহার করা হয় এবং কিভাবে খেতে হয় সে সম্পর্কে জানতে পেরেছি। তবে বিশেষভাবে অনুরোধ সকল ধরনের ওষুধ সেবন করার পূর্বে অবশ্যই গ্রহণ করবেন। এবং পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া গুলো সম্পর্কে অবগত হবেন। ধন্যবাদ।

আরও দেখুনঃ

চুলকানি দূর করার ঔষধের নাম | দেখুন মলম ও দূর করার ঘরোয়া উপায়

এলার্জি ঔষধ এর নাম বাংলাদেশ ২০২৩ | এলার্জির সবচেয়ে ভালো ঔষধ

Leave a Comment