ফ্রিল্যান্সিং কত প্রকার ও কি কি | অনলাইন কাজের বর্ণনা

ফ্রিল্যান্সিং-এর অনেক শ্রেণিবিভাগ রয়েছে। তবে এটিকে সাধারণত দুটি প্রধান বিভাগে ভাগ করা যায়: দক্ষতা-ভিত্তিক ফ্রিল্যান্সিং এবং প্রকল্প-ভিত্তিক ফ্রিল্যান্সিং। দক্ষতা-ভিত্তিক ফ্রিল্যান্সিং-এ, ফ্রিল্যান্সাররা তাদের নির্দিষ্ট দক্ষতা প্রদান করে। যেমন- লেখা, সম্পাদনা, ডিজাইন, বা প্রোগ্রামিং। তারা সাধারণত ঘন্টা …

ফ্রিল্যান্সিং কত প্রকার ও কি কি

ফ্রিল্যান্সিং-এর অনেক শ্রেণিবিভাগ রয়েছে। তবে এটিকে সাধারণত দুটি প্রধান বিভাগে ভাগ করা যায়: দক্ষতা-ভিত্তিক ফ্রিল্যান্সিং এবং প্রকল্প-ভিত্তিক ফ্রিল্যান্সিং। দক্ষতা-ভিত্তিক ফ্রিল্যান্সিং-এ, ফ্রিল্যান্সাররা তাদের নির্দিষ্ট দক্ষতা প্রদান করে। যেমন- লেখা, সম্পাদনা, ডিজাইন, বা প্রোগ্রামিং। তারা সাধারণত ঘন্টা বা প্রতি ঘন্টার হারে কাজ করে। বর্তমান সময়ে অসংখ্য মানুষ অনলাইন এর বিভিন্ন কাজ পারদর্শী হয়ে অনলাইন কাজ করছে। আজকের পোস্টে আপনাদের জন্য অনলাইন বিভিন্ন কাজের বর্ণনা দেওয়া হয়েছে।

ফ্রিল্যান্সিং বলতে কি বুঝায়

ঘরে বসে নিজের বিভিন্ন কাজের অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে অনলাইনের বিভিন্ন কাজ করাকে ফ্রিল্যান্সিং বলে। তাই আপনার যদি ঘরে বসে ল্যাপটপ দিয়ে অনলাইনের বিভিন্ন কাজ করতে মন চায়। তাহলে বিভিন্ন কাজের উপরে আপনি প্রশিক্ষণ গ্রহণ করতে পারেন।

ফ্রিল্যান্সিং কি? কত ধরনের ফ্রিল্যান্সিং করা যায়??

নিজের দক্ষতা কাজে লাগিয়ে ঘরে বসে কাজ করাকে ফ্রিল্যান্সিং বলে। বর্তমানে দুই ধরণের ফ্রিল্যান্সিং আছে। যেমন-  দক্ষতা-ভিত্তিক ফ্রিল্যান্সিং ও প্রকল্প-ভিত্তিক ফ্রিল্যান্সিং। এই দুই ধরণের ফ্রিল্যান্সিং এর মধ্যে অনেক ধরণের কাজ রয়েছে। একেক জন একেক ধরণের কাজ শিখে, সেই কাজের উপরে সবাই কাজ করছে। বিভিন্ন ধরণের ফ্রিল্যান্সিং কাজের বিস্তারিত দেখুন নিচে।

ফ্রিল্যান্সিং কত প্রকার

কিছু জনপ্রিয় দক্ষতা-ভিত্তিক ফ্রিল্যান্সিং কাজের মধ্যে রয়েছে:

  • লেখা ও সম্পাদনা: ফ্রিল্যান্স লেখকরা বিভিন্ন ধরণের সামগ্রী লিখতে পারেন। যেমন- ব্লগ পোস্ট, নিবন্ধ, ওয়েবসাইট কন্টেন্ট ও বই। ফ্রিল্যান্স সম্পাদকরা ব্যাকরণ, বানান ও শৈলী ত্রুটিগুলির জন্য সামগ্রী সম্পাদনা করতে পারেন।
  • ডিজাইন ফ্রিল্যান্সিং: ফ্রিল্যান্স ডিজাইনাররা গ্রাফিক্স, ওয়েবসাইট ও লোগো তৈরি করতে পারেন। তারা প্রিন্ট ও ডিজিটাল উভয় মাধ্যমের জন্য ডিজাইন তৈরি করতে পারেন।

প্রোগ্রামিং ফ্রিল্যান্সিং

  • প্রোগ্রামিং: ফ্রিল্যান্স প্রোগ্রামাররা ওয়েবসাইট, অ্যাপ এবং সফ্টওয়্যার তৈরি করতে পারেন। তারা বিভিন্ন প্রোগ্রামিং ভাষায় দক্ষ হতে পারে।

মার্কেটিং ফ্রিল্যান্সিং

মার্কেটিং: ফ্রিল্যান্স মার্কেটাররা ব্যবসাগুলিকে তাদের পণ্য ও পরিষেবাগুলি বাজারজাত করতে সহায়তা করতে পারে। তারা সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং, সার্চ ইঞ্জিন অপ্টিমাইজেশন (SEO) ও প্রোডাক্ট মার্কেটিং সহ বিভিন্ন বিপণন কৌশলে দক্ষ হতে পারে।

প্রশাসনিক সহায়তা ফ্রিল্যান্সিং

প্রশাসনিক সহায়তা: ফ্রিল্যান্স প্রশাসনিক সহকারীরা বিভিন্ন প্রশাসনিক কাজে সহায়তা করতে পারে। যেমন- ডেটা এন্ট্রি, বুককিপিং ও কাস্টমার সার্ভিস।

প্রকল্প-ভিত্তিক ফ্রিল্যান্সিং-এ, ফ্রিল্যান্সাররা নির্দিষ্ট প্রকল্পে কাজ করে। তারা সাধারণত প্রকল্পের সম্পূর্ণতার উপর ভিত্তি করে একটি নির্দিষ্ট ফি পায়। কিছু জনপ্রিয় প্রকল্প-ভিত্তিক ফ্রিল্যান্সিং কাজের মধ্যে রয়েছে:

ওয়েবসাইট ডেভেলপমেন্ট ফ্রিল্যান্সিং

  • ওয়েবসাইট ডেভেলপমেন্ট: ফ্রিল্যান্স ওয়েব ডেভেলপাররা ওয়েবসাইট তৈরি করতে পারেন। তারা বিভিন্ন ওয়েব ডেভেলপমেন্ট ভাষায় দক্ষ হতে পারে।
  • মোবাইল অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট: ফ্রিল্যান্স মোবাইল অ্যাপ তৈরি করার জন্য এই সেক্টর অনেক গুরুত্ব পূর্ণ।

এখানে আরও কিছু ফ্রিল্যান্সিং কাজের বর্ণনা করা হয়েছে;

ডিজিটাল মার্কেটিং: এই বিভাগে সার্চ ইঞ্জিন অপ্টিমাইজেশন (SEO), সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং (SMM), এবং প্রতি-পেম-ক্লিক (PPC) বিজ্ঞাপন প্রচারণার মতো কাজ অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।

সফ্টওয়্যার ডেভেলপমেন্ট: এই বিভাগে ওয়েব এবং মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন, সেইসাথে ডেস্কটপ অ্যাপ্লিকেশন তৈরির কাজ অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।

কাস্টমার সার্ভিস: এই বিভাগে ফোন, ইমেল এবং চ্যাটের মাধ্যমে গ্রাহকদের সহায়তা করার কাজ অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।

ডেটা এন্ট্রি: এই বিভাগে ডেটাবেসে ডেটা প্রবেশ করানোর কাজ অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।

ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট: এই বিভাগে প্রশাসনিক, প্রযুক্তিগত বা সৃজনশীল কাজ সহ বিভিন্ন ধরণের কাজের সাথে ক্লায়েন্টদের সহায়তা করার কাজ অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।

কাজের অবস্থান অনুসারে:

  • অফিস-ভিত্তিক ফ্রিল্যান্সিং: এই ধরনের ফ্রিল্যান্সিংয়ে, ফ্রিল্যান্সাররা একটি কোম্পানির অফিসে কাজ করে, তবে তারা কর্মচারী নয়।
  • রিমোট ফ্রিল্যান্সিং: এই ধরনের ফ্রিল্যান্সিংয়ে, ফ্রিল্যান্সাররা তাদের নিজস্ব বাড়ি থেকে বা অন্য কোনও দূরবর্তী অবস্থান থেকে কাজ করে।

কাজের সময়সূচী অনুসারে:

  • পূর্ণ-সময় ফ্রিল্যান্সিং: এই ধরনের ফ্রিল্যান্সিংয়ে, ফ্রিল্যান্সাররা একজন কর্মচারীর মতো ১০-১২ সংখ্যক ঘন্টা কাজ করে।
  • পার্ট-টাইম ফ্রিল্যান্সিং: এই ধরনের ফ্রিল্যান্সিংয়ে, একজন ফ্রিল্যান্সার তার মূল কাজের পাশাপাশি দিনের কিছু সংখ্যক ঘন্টা অনলাইন কাজ করে থাকে।

আশা করি আজকের পোষ্টের মাধ্যমে ফ্রিল্যান্সিং কত প্রকার ও অনলাইন বিভিন্ন কাজ সম্পর্কে জানতে পেরেছেন। অনলাইন কাজ সম্পর্কে আপনাদের যদি কোন প্রশ্ন থাকে তাহলে অবশ্যই কমেন্ট করে আমাদের জানাবেন। আমরা যত দ্রুত সম্ভব আপনার প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করবো।

আরও দেখুনঃ

অনলাইনে টাকা ইনকাম করার সহজ উপায় ২০২৪ 

Leave a Comment