জাপান যেতে কত টাকা লাগে ২০২৪ | জাপানের সর্বোচ্চ বেতন কত

বাংলাদেশ থেকে জাপান যেতে কত টাকা লাগে জানতে আগ্রহী অনেকেই। ইতিমধ্যে বাংলাদেশ থেকে জাপানে বসবাস করছে অনেকে। এই দেশে যাওয়ার আগ্রহের যতগুলো উদ্দেশ্য রয়েছে, তার মধ্যে অন্যতম কর্মসংস্থান। উন্নত এই রাষ্ট্র জাপান। এদেশের অর্থনৈতিক দিক …

জাপান যেতে কত টাকা লাগে

বাংলাদেশ থেকে জাপান যেতে কত টাকা লাগে জানতে আগ্রহী অনেকেই। ইতিমধ্যে বাংলাদেশ থেকে জাপানে বসবাস করছে অনেকে। এই দেশে যাওয়ার আগ্রহের যতগুলো উদ্দেশ্য রয়েছে, তার মধ্যে অন্যতম কর্মসংস্থান। উন্নত এই রাষ্ট্র জাপান। এদেশের অর্থনৈতিক দিক ভালো হওয়ায় কর্মসংস্থান গড়ে তোলার সুযোগ রয়েছে।

যারা কর্মসংস্থানের জন্য জাপান যেতে আগ্রহী। তাদের ওয়ার্ক পারমিট ভিসা সংগ্রহ করতে হবে। বাংলাদেশ থেকে জাপান যাওয়ার বিভিন্ন এজেন্সি রয়েছে। বিভিন্ন মাধ্যমে ভিসা সংগ্রহ করা যায়। জাপান যেতে কত টাকা লাগে ভিসার উপর নির্ভর করে। কোন কাজের জন্য ভিসা সংগ্রহ করতে চাচ্ছেন। বিভিন্ন ধরনের কাজের চাহিদা রয়েছে। প্রত্যেকটি কাজের বেতন আলাদা। জাপান কোন কাজের বেতন কত। সর্বোচ্চ বেতন কত এবং সর্বনিম্ন বেতন কত। জাপান যেতে কত টাকা লাগে ও কোন কাজের চাহিদা বেশি উল্লেখ করা হয়েছে।

জাপান যেতে কত টাকা লাগে

জাপান যেতে কত টাকা লাগে, তা নির্ভর করে কোন ভিসা সংগ্রহ করতে চাচ্ছেন। যদি কর্মসংস্থানের জন্য ভিসা সংগ্রহ করতে চান। তাহলে বেশি টাকা লাগবে। যদি টুরিস্ট ভিসায় যান, তাহলে টাকা কম লাগবে। জাপানের কয়েকটি ভিসার মধ্যে টুরিস্ট ভিসা বা ভিজিট ভিসা, ওয়ার্ক পারমিট ভিসা, স্টুডেন্ট ভিসা, শ্রমিক ভিসা। প্রত্যেকটা ভিসার উপর নির্ভর টাকা লাগবে।

বাংলাদেশ থেকে জাপান যেতে কত টাকা লাগে

বাংলাদেশ থেকে জাপান যেতে কত টাকা লাগে তা নির্ভর করে বিভিন্ন ধরনের ভিসার উপর। শুধু ভিসার জন্য টাকা লাগে তা নয়। কত টাকা লাগে তা নির্ভর করে পাসপোর্ট, ভিসা, টিকিট সহ আরো অনেক কিছুর উপর।

  • যদি টুরিস্ট ভিসা বা ভিজিট ভিসায় যান। ভিসা ও যাতায়াত সহ অন্যান্য বিষয়ের উপর নির্ভর করে ৫ লক্ষ থেকে ৬ লক্ষ টাকা।
  • ওয়ার্ক পারমিট ভিসায় যেতে- পাসপোর্ট, ভিসা, বিমানের টিকিট, যাতায়াতসহ। এজেন্সির মাধ্যমে ওয়ার্ক পারমিট সংগ্রহ করার মাধ্যমে সাত লক্ষ টাকা থেকে ১২ লক্ষ টাকা।
  • স্টুডেন্ট ভিসায় যেতে, আপনি যদি জাপান স্টুডেন্ট ভিসা করতে চান ৮ লক্ষ ৫০ হাজার থেকে ১৫ লক্ষ টাকা লাগবে। কেননা বিভিন্ন বিষয়ের উপর আপনাকে টাকা দিতে হবে। এজন্য স্টুডেন্ট ভিসায় বেশি টাকা লাগে।
  • শ্রমিক ভিসায় যেতে চাইলে। শ্রমিক ভিসায় বিভিন্ন ধরনের কাজ রয়েছে। শ্রমিক ভিসা সংগ্রহ করার জন্য ৮ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা থেকে ১২ লক্ষ টাকা লাগবে।

জাপান যাওয়ার শিক্ষাগত যোগ্যতা

জাপান যেতে হলে ন্যূনতম এসএসসি পাস হতে হবে। শিক্ষাগত যোগ্যতা না থাকলে ভিসা সংগ্রহ করা যায় না। এর পাশাপাশি ওয়ার্ক পারমিট ভিসা পেতে কাজের দক্ষতা অর্জন করতে হয়। জাপানি ভাষা শিখতে হবে এবং সার্টিফিকেট সংগ্রহ করতে হবে। স্টুডেন্ট ভিসা পাওয়ার জন্য নূন্যতম এসএসসি পাস হতে হবে।

জাপানে কোন কাজে চাহিদা বেশি

জাপানে বিভিন্ন ধরনের কাজের সুযোগ রয়েছে। এদেশে যাওয়ার জন্য যে পদ্ধতি অবলম্বন করতে হয়, তা অনেক কষ্টসাধ্য। এবং এদেশে যাওয়ার জন্য বেশি টাকা লাগে। যারা টাকা সংগ্রহ করতে পারবে। তারা চাইলে জাপানে যেতে পারবে। যদি জাপানের কর্মসংস্থান গড়ে তুলতে চান। তাহলে জানতে হবে কোন কাজে চাহিদা বেশি। এবং কোন কাজের বেতন বেশি। যদি জানা থাকে কোন কাজে চাহিদা বেশি। সেক্ষেত্রে সে কাজের উপর দক্ষতা অর্জন করতে পারবেন।

  • ইলেকট্রিশিয়ান এর কাজ
  • কনস্ট্রাকশনের কাজ
  • প্লাম্বার
  • হোটেল বা রেস্টুরেন্ট এর কাজ
  • ক্লিনার এর কাজ
  • ফুট প্যাকেজিং
  • কৃষি কাজ
  • ফ্যাক্টরি কাজ
  • বিভিন্ন কোম্পানির কাজ

জাপানে কোন কাজের বেতন বেশি

সাধারণত কাজের উপর নির্ভর করে বেতন নির্ধারণ করা হয়। যে সকল কাজের চাহিদা বেশি সকল কাজের বেতন বেশি। কাজের ক্ষেত্রে প্রযুক্তি ব্যবহার থাকায় আরো সহজেই করে নেয়া যায়। এজন্য বিভিন্ন কাজের উপর নির্ভর করে বেতন দিয়ে থাকে।

  • ইলেকট্রিশিয়ান এর কাজঃ এই কাজের বেশি চাহিদা রয়েছে। এজন্য জাপানের ২ লক্ষ ৬০ হাজার থেকে ২ লক্ষ ৭০ হাজার ইয়ান দিয়ে থাকে। যা বাংলাদেশী টাকায় ২ লক্ষ টাকা
  • কনস্ট্রাকশন এর কাজঃ অন্যান্য কাজের পাশাপাশি এই কাজ চাহিদা থাকায়। জাপানের ২ লক্ষ থেকে ২ লক্ষ থেকে ২ লক্ষ ৫০ হাজার ইয়ান দিয়ে থাকে। যদি কাজে দক্ষতা অর্জন করতে পারেন। তাহলে এ থেকে বেশি টাকা রোজার করা যায়।
  • পাশাপাশি ক্লিনার, ফুড প্যাকেজিং, কৃষি কাজ, বিভিন্ন কোম্পানির কাজে জাপানের এক লক্ষ থেকে ২ লক্ষ ইয়ান রোজগার করা যায়। যা বাংলাদেশী টাকায় ৭০ হাজার থেকে এক লক্ষ ৬০ হাজার টাকা।
  • ফ্যাক্টরি কাজের বেশ চাহিদা রয়েছে। যারা এই কাজের ভিসা সংগ্রহ করতে পারবে। তারা জাপানের এক লক্ষ থেকে এক লক্ষ পঞ্চাশ হাজার ইয়ান রোজগার করতে পারবে। যা বাংলাদেশী টাকায় ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকা।

জাপানের সর্বোচ্চ বেতন কত

জাপানেও সর্বোচ্চ এবং সর্বনিম্ন বেতনের কাজ রয়েছে। আপনি কত টাকার রোজগার করতে পারবেন। তা ভিসা সংগ্রহ করার মাধ্যমে এবং কাজে দক্ষতার উপর নির্ভর করবে। যদি একটি কাজের প্রতি ভালো অভিজ্ঞতা অর্জন করে থাকেন। ভালো ভিসা সংগ্রহ করে থাকেন। এক্ষেত্রে সেই কাজ থেকে সর্বোচ্চ ৪ লক্ষ টাকা রোজগার করা সম্ভব। এর থেকেও বেশি টাকা রোজগার করা যায়।

জাপানে সর্বনিম্ন বেতন কত

জাপানে বিভিন্ন কাজের সুযোগ রয়েছে। কাজের উপর নির্ভর করে বেতন নির্ধারণ করা হয়। এক্ষেত্রে আপনি যদি একটি কাজের প্রতি ভালো অভিজ্ঞতা অর্জন করে থাকেন। কাজের দক্ষতা দেখিয়ে বেশি টাকা রোজগার করতে পারবেন। জাপানের সর্বনিম্ন বেতন কাজের ধরন অনুযায়ী প্রায় ১ লক্ষ টাকা।

এখানে জাপান যেতে কত টাকা লাগে। কোন কাজের চাহিদা বেশি। কোন কাজের বেতন বেশি। জাপান যাওয়ার যোগ্যতা সম্পর্কে উল্লেখ করা হয়েছে। আশা করা যায় এই পোস্ট আপনাদের উপকারে এসেছে।

আরও দেখুনঃ

ওমানে কোন কাজের চাহিদা বেশি | ওমানে কোন কাজের বেতন কত

সিঙ্গাপুরে কোন কাজের চাহিদা বেশি | বিভিন্ন কাজের বেতন কত

মালয়েশিয়া কনস্ট্রাকশন কাজের বেতন কত | রাজমিস্ত্রী, ইলেকট্রিশিয়ান, প্লাম্বার ও সাধারণ শ্রমিক

কানাডা কোন কাজের চাহিদা বেশি ও কোন কাজের বেতন কত

কুয়েতের কোন কাজের চাহিদা বেশি এবং বেতন কত

Leave a Comment