বাংলাদেশ থেকে অসংখ্য মানুষ মালয়েশিয়া যাওয়ার জন্য পারমিট ভিসা বা ভিজিট ভিসায় যেতে চাচ্ছে। কিন্তু কিভাবে মালয়েশিয়া এর ভিসার জন্য আবেদন করবে জানেনা। তাদের জন্য আজকের এই পোস্টে উল্লেখ করা হয়েছে কিভাবে দালাল ছাড়া অনলাইনের মাধ্যমে মালোশিয়া এর ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন। নির্দিষ্ট নিয়ম অনুসরণ করে বাংলাদেশ গভারমেন্টের অনুমোদিত প্রতিষ্ঠানে প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস ও ভিসা ফি পরিশোধ করে মালয়েশিয়ার ভিসা সংগ্রহ করতে পারবেন। তাই আজকের পোস্ট শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়বেন। যাতে করে ভিসা আবেদনের সময় থেকে ভিসা গ্রহণ পর্যন্ত সকল কার্যক্রম সম্পর্কে আপনি জানতে পারেন।
যারা মালয়েশিয়ার উদ্দেশ্যে ভিসার জন্য আবেদন করবেন তাদের অবশ্যই বিএমইটির ডাটাবেজে রেজিস্টার করতে হবে। পরবর্তী ধাপে আপনি যে কাজের উপর দক্ষ সেই কাজ অনুযায়ী অনলাইনে মালয়েশিয়া এর ভিসার জন্য আবেদন করে বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক অনুমোদিত এজেন্সি কিংবা সরকারিভাবে ভিসা প্রসেস করতে পারবেন। তিনভাবে মালয়েশিয়ার ভিসার জন্য আবেদন করা যাবে। নিচে আপনাদের সুবিধার্থে তিনটি পদ্ধতির সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে।
মালয়েশিয়ার ভিসার জন্য আবেদন করার প্রকারভেদঃ
- মালয়েশিয়া ই-ভিসা
অন্যদিকে যারা সরকারিভাবে মালয়েশিয়া যেতে চান তাদের জন্য অন্যতম দুইটি উপায় হচ্ছে-
- বিএমইটির কার্যালয় থেকে
- আমি প্রবাসী অ্যাপের মাধ্যমে
মালয়েশিয়া ই-ভিসা এর আবেদন
ভালো এজেন্সির মাধ্যমে মালোশিয়ার ভিসার আবেদন করতে হলে এই লিংকে https://www.imi.gov.my/ ভিজিট করে আপনার নিজের প্রয়োজন অনুযায়ী ভিসার ধরন বুঝে আবেদন ফরম ডাউনলোড করুন। সঠিকভাবে পূরণ করে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সহ এজেন্সির মাধ্যমে আবেদন ও ভিসা ফি পরিশোধ করুন। ভিসা তৈরি হয়ে গেলে আপনি খুব শীঘ্রই এজেন্সির মাধ্যমে জানতে পারবেন।।
মালয়েশিয়া অনলাইনে ভিসা আবেদন
মালয়েশিয়া যাওয়ার জন্য BMET কার্যালয়ে আবেদনের মাধ্যমে যাওয়া যাচ্ছে। আপনার পাসপোর্ট পাসপোর্ট সাইজের ছবি ও দক্ষতা ভিত্তিক সনদপত্র নিয়ে বিএমইটির কার্যালয়ে গিয়ে মালয়েশিয়া ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন। বর্তমানে বাংলাদেশ সরকারের অধীনে বিভিন্ন জেলায় সর্বমোট ৪২ টি বিএমইটি কার্যালয় রয়েছে। অন্যদিকে ১১ টি বাংলাদেশ কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র থেকে আবেদন করার সুযোগ রয়েছে।
আপনি BMET কার্যালয়ে গিয়ে অথবা কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে গিয়ে আপনার দক্ষতা অনুযায়ী অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন। পরবর্তীতে আপনার আবেদন যদি গ্রহণ করা হয়। তাহলে বিএমইটির ডাটাবেজ থেকে অথবা মোবাইল নম্বরে জানিয়ে দেওয়া হবে।
আমি প্রবাসী অ্যাপের মাধ্যমে মালয়েশিয়ার ভিসার আবেদন
বর্তমানে ঘরে বসে আপনি আপনার স্মার্টফোন দিয়ে আমি প্রবাসী নামক অ্যাপের মাধ্যমে ভিসার আবেদন করতে পারবেন।
- সর্বপ্রথম আপনাকে এই Ami Probashi অ্যাপটি গুগল প্লে স্টোর থেকে ডাউনলোড করতে হবে।
- তারপর আপনার পাসপোর্ট স্ক্যান করে ও অন্যান্য সকল তথ্য প্রদান করে বিএমইটির রেজিস্ট্রেশন কমপ্লিট করতে হবে।
- পরবর্তী ধাপে যাচাইয়ের জন্য ৭২ ঘন্টা সময় নেয়া হবে। আপনার সকল তথ্য সঠিক থাকলে দ্রুতই ভেরিফিকেশন সম্পন্ন হয়ে যাবে। পরবর্তী ধাপে বিকাশের মাধ্যমে ৩০০ টাকা ফ্রি পরিশোধ করে রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন করুন।
- এখন আপনার মোবাইলের আমি প্রবাসী অ্যাপে লগইন করে বিএমইটির রেজিস্ট্রেশনের পাশে চাকরি খোঁজার অপশন পাবেন।
- সেখানে আপনি বিভিন্ন চাকরির বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী আপনার পছন্দের চাকরির জন্য আবেদন করতে পারবেন।
আপনার সাবমিট করা চাকরির আবেদন মঞ্জুর হলে প্রবাসী অ্যাপ মেসেজ ইনবক্স থেকে জানতে পারবেন।
মালয়েশিয়া ভিসার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র
মালয়েশিয়ার কাজের ভিসা পেতে-
- আবেদনকারীর বয়সসীমা ২১-৪৫ বছর হতে হবে।
- কমপক্ষে দুই বছরের মেয়াদ সম্পন্ন পাসপোর্ট থাকতে হবে।
- বিএমইটির ডাটাবেজে রেজিস্ট্রেশন করা থাকতে হবে।
- জাতীয় পরিচয়পত্র
- বিএমইটি কার্যালয়, কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, অনুমোদিত এজেন্সির মাধ্যমে আবেদন সম্পূর্ণ করতে হবে।
- সাদা ব্যাকগ্রাউন্ডের পাসপোর্ট সাইজের ছবি।
- পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট।
- করোনা ভ্যাকসিনেশন কার্ড থাকতে হবে।
মালয়েশিয়া ভিজিট ভিসা পেতে
যারা ভিজিট ভিসা তে মালয়েশিয়া যাবেন। তাদের নিচের কাগজপত্র গুলো থাকতে হবে।
- অনলাইন ভিসা অ্যাপ্লিকেশন ফর্ম।
- ৬ মাস মেয়াদ সম্পন্ন পাসপোর্ট।
- জাতীয় পরিচয়পত্র।
- সাদা ব্যাকগ্রাউন্ডের পাসপোর্ট সাইজের ছবি।
- রিটার্ন এয়ার টিকেটের কপি।
- হোটেল বুকিংয়ের কপি।
- ব্যাংক স্টেটমেন্ট।
- পূর্বে মালয়েশিয়া ভিজিটে গিয়ে থাকলে ভিসার কপি।
- কারো আমন্ত্রণে মালয়েশিয়া গেলে রেফারেন্স লেটার।
- উপরোক্ত ডকুমেন্টস গুলো নিয়ে মালয়েশিয়া ভিসা আবেদন করতে পারবেন।
মালয়েশিয়া ভিসার দাম কত ২০২৪
যারা সরকারিভাবে মালয়েশিয়া কাজের জন্য যাচ্ছে তাদের জন্য ভিসার মূল্য হচ্ছে ৭৮, ৯০০ টাকা। অন্যদিকে মালয়েশিয়া কলিং ভিসা প্রসেসিং ফি ১ লক্ষ ৬০ হাজার টাকা। এছাড়াও অন্যান্য আনুষঙ্গিক খরচ মিলিয়ে ৩ থেকে ৪ লক্ষ টাকা খরচ হতে পারে।
মালয়েশিয়া ভিজিট ভিসা প্রসেসিং ফি ৫৮, ৮০০ টাকা। অন্যদিকে আনুষঙ্গিক সব খরচ মিলিয়ে তিন মাসের মালয়েশিয়া ভিজিট ভিসায় ৬০ হাজার থেকে ১ লক্ষ টাকা খরচ হতে পারে।
মালয়েশিয়া ভিসা আবেদন করার নিয়ম ২০২৪
মালয়েশিয়া ভিসা আবেদন করার জন্য নিম্নলিখিত নিয়ম অনুসরণ করতে হবে:
প্রয়োজনীয় কাগজপত্র:
পাসপোর্ট: পাসপোর্টের মেয়াদ অবশ্যই মালয়েশিয়ায় থাকাকালীন সময়ের চেয়ে কমপক্ষে ৬ মাস বা তার বেশি হতে হবে। পাসপোর্টে অবশ্যই কমপক্ষে ৩টি ফাঁকা পৃষ্ঠা থাকতে হবে।
ভিসা আবেদনপত্র: ভিসা আবেদনপত্রটি ইংরেজিতে পূরণ করতে হবে। আবেদনপত্রের সাথে আপনার একটি পাসপোর্ট সাইজের ছবি আঠালো করে লাগাতে হবে।
ভিসা ফি: ভিসা ফি নির্ভর করে আপনার ভিসার ধরন এবং মেয়াদের উপর।
বিস্তারিত আরও যেসব কাগজ লাগবে উপরে বলে দেওয়া হয়েছে।
আবেদন পদ্ধতি
মালয়েশিয়া ভিসার জন্য আবেদন করতে হলে আপনাকে নিকটস্থ মালয়েশিয়ান দূতাবাস বা কনস্যুলেট অফিসে যেতে হবে। আবেদনপত্র পূরণ করার সময় আপনাকে অবশ্যই আপনার সকল প্রয়োজনীয় কাগজপত্রের সত্যায়িত কপি সংযুক্ত করতে হবে। আবেদনপত্র জমা দেওয়ার সময় আপনাকে একটি আবেদন ফি প্রদান করতে হবে।
মালয়েশিয়া ভিসা আবেদন 2024
মালয়েশিয়া ভিসা আবেদন করার জন্য নিম্নলিখিত নিয়ম অনুসরণ করতে হবে:
প্রয়োজনীয় কাগজপত্র:
পাসপোর্ট: পাসপোর্টের মেয়াদ অবশ্যই মালয়েশিয়ায় থাকাকালীন সময়ের চেয়ে কমপক্ষে ৬ মাস বা তার বেশি হতে হবে। পাসপোর্টে অবশ্যই কমপক্ষে ৩টি ফাঁকা পৃষ্ঠা থাকতে হবে।
ভিসা আবেদনপত্র: ভিসা আবেদনপত্রটি ইংরেজিতে পূরণ করতে হবে। আবেদনপত্রের সাথে আপনার একটি পাসপোর্ট সাইজের ছবি আঠালো করে লাগাতে হবে।
ভিসা ফি: ভিসা ফি নির্ভর করে আপনার ভিসার ধরন এবং মেয়াদের উপর।
আপনার আবেদনপত্র মালয়েশিয়ান সরকারের দ্বারা মূল্যায়ন করা হবে। আবেদনপত্রের সাথে আপনার সকল প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা না দেওয়া হলে বা আপনার আবেদনপত্রে কোন ভুল থাকলে আপনার ভিসা প্রত্যাখ্যান হতে পারে।
ভিসা প্রসেসিং সময়
মালয়েশিয়া ভিসার প্রসেসিং সময় সাধারণত ৭-১০ দিন হয়। তবে, ভিসার ধরন এবং মেয়াদের উপর নির্ভর করে প্রসেসিং সময় কমবেশি হতে পারে।
ভিসা পাওয়ার পর
আপনার ভিসা পাওয়ার পর আপনাকে অবশ্যই ভিসার মেয়াদ শেষ হওয়ার আগে মালয়েশিয়ায় প্রবেশ করতে হবে। মালয়েশিয়ায় প্রবেশ করার সময় আপনাকে অবশ্যই আপনার পাসপোর্ট এবং ভিসা প্রদর্শন করতে হবে।
ভিসা প্রত্যাখ্যান
আপনার ভিসা প্রত্যাখ্যান হলে আপনি আবেদনপত্রের সাথে সংযুক্ত করা কাগজপত্রের সঠিকতা এবং সম্পূর্ণতা নিশ্চিত করুন। আপনি যদি মনে করেন যে আপনার ভিসা প্রত্যাখ্যানের কারণ অন্য কিছু, তাহলে আপনি মালয়েশিয়ান দূতাবাস বা কনস্যুলেট অফিসে যোগাযোগ করতে পারেন।
মালয়েশিয়া ভিসার বিভিন্ন ধরন
মালয়েশিয়ায় বিভিন্ন ধরণের ভিসা রয়েছে। আপনার প্রয়োজনীয় ভিসার ধরন নির্ভর করে আপনি মালয়েশিয়ায় কেন ভ্রমণ করতে চান তার উপর।
- ট্যুরিস্ট ভিসা: এই ভিসা মালয়েশিয়ায় পর্যটন, সাংস্কৃতিক ভ্রমণ বা পারিবারিক অনুষ্ঠানে যোগদানের জন্য দেওয়া হয়। ট্যুরিস্ট ভিসার মেয়াদ সাধারণত ৩০ দিন হয়।
- ভিজিট ভিসা: এই ভিসা মালয়েশিয়ায় ব্যবসায়িক মিটিং, চিকিৎসা, বা অন্যান্য ব্যক্তিগত কারণে ভ্রমণের জন্য প্রদান করা হয়। ভিজিট ভিসার মেয়াদ সাধারণত ৩০ দিন থেকে ৯০ দিন পর্যন্ত হয়।
- স্টুডেন্ট ভিসা: এই ভিসা মালয়েশিয়ায় শিক্ষার জন্য প্রদান করা হয়। স্টুডেন্ট ভিসার মেয়াদ সাধারণত ১ বছর থেকে ৩ বছর পর্যন্ত হয়।
- ওয়ার্ক পারমিট ভিসা: এই ভিসা মালয়েশিয়ায় কাজের জন্য প্রদান করা হয়। ওয়ার্ক পারমিট ভিসার মেয়াদ সাধারণত ১ বছর থেকে ৩ বছর পর্যন্ত হয়।
- ইমিগ্রেশন পারমিট ভিসা: এই ভিসা মালয়েশিয়ায় স্থায়ীভাবে বসবাসের জন্য প্রদান করা হয়। ইমিগ্রেশন পারমিট ভিসার মেয়াদ সাধারণত ১ বছর থেকে ৩ বছর পর্যন্ত হয়।
মালয়েশিয়া ফ্যাক্টরি ভিসা আবেদন
মালয়েশিয়া ফ্যাক্টরি ভিসা হল একটি কর্মসংস্থান ভিসা যা মালয়েশিয়ায় একটি কারখানায় কাজ করার জন্য দেওয়া হয়। এই ভিসায় সাধারণত ১ বছরের মেয়াদ থাকে এবং এটি পরবর্তীতে নবায়ন করা যেতে পারে।
মালয়েশিয়া ফ্যাক্টরি ভিসার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র
- পাসপোর্ট: পাসপোর্টের মেয়াদ অবশ্যই মালয়েশিয়ায় থাকাকালীন সময়ের চেয়ে কমপক্ষে ৬ মাস বা তার বেশি হতে হবে। পাসপোর্টে অবশ্যই কমপক্ষে ৩টি ফাঁকা পৃষ্ঠা থাকতে হবে।
- বিএমইটি রেজিস্ট্রেশন
- BMET Training এ অংশগ্রহণ করা
- ভিসা এজেন্সির সাথে যোগাযোগ
- ভিসা আবেদনপত্র: ভিসা আবেদনপত্রটি ইংরেজিতে পূরণ করতে হবে। আবেদনপত্রের সাথে আপনার একটি পাসপোর্ট সাইজের ছবি আঠালো করে লাগাতে হবে।
- ভিসা ফি: ভিসা ফি নির্ভর করে আপনার ভিসার ধরন এবং মেয়াদের উপর।
- আপনার শিক্ষাগত যোগ্যতা এবং কাজের অভিজ্ঞতার প্রমাণ: আপনার শিক্ষাগত সার্টিফিকেট, কাজের অভিজ্ঞতার সনদপত্র এবং অন্যান্য প্রাসঙ্গিক কাগজপত্র।
মালয়েশিয়া ফ্যাক্টরি ভিসার জন্য আবেদন পদ্ধতি
মালয়েশিয়া ফ্যাক্টরি ভিসার জন্য আবেদন করতে হলে আপনাকে নিকটস্থ মালয়েশিয়ান দূতাবাস বা কনস্যুলেট অফিসে যেতে হবে। আবেদনপত্র পূরণ করার সময় আপনাকে অবশ্যই আপনার সকল প্রয়োজনীয় কাগজপত্রের সত্যায়িত কপি সংযুক্ত করতে হবে। আবেদনপত্র জমা দেওয়ার সময় আপনাকে একটি আবেদন ফি প্রদান করতে হবে।
মালয়েশিয়া ফ্যাক্টরি ভিসার প্রসেসিং সময়
মালয়েশিয়া ফ্যাক্টরি ভিসার প্রসেসিং সময় সাধারণত ৭-১০ দিন হয়। তবে, ভিসার ধরন এবং মেয়াদের উপর নির্ভর করে প্রসেসিং সময় কমবেশি হতে পারে। ফ্যাক্টরি ভিসার দাম ২,৫০,০০০ টাকা থেকে শুরু করে ৩,০০,০০০ টাকা অব্দি হতে পারে।
মালয়েশিয়া ফ্যাক্টরি ভিসার মেয়াদ
মালয়েশিয়া ফ্যাক্টরি ভিসার মেয়াদ সাধারণত ১ বছর হয়। তবে, আপনার নিয়োগকর্তার সাথে আপনার চুক্তির মেয়াদ অনুযায়ী ভিসার মেয়াদ কম বা বেশি হতে পারে।
মালয়েশিয়া ফ্যাক্টরি ভিসার নবায়ন
আপনার ভিসার মেয়াদ শেষ হওয়ার আগে আপনি মালয়েশিয়ান ইমিগ্রেশন অফিসে ভিসার নবায়নের জন্য আবেদন করতে পারেন। ভিসার নবায়নের জন্য আপনার নিয়োগকর্তার কাছ থেকে একটি নতুন স্পন্সরশিপ লেটার প্রয়োজন হবে।
মালয়েশিয়া ফ্যাক্টরি ভিসার শর্তাবলী
মালয়েশিয়া ফ্যাক্টরি ভিসার অধীনে। আপনাকে অবশ্যই মালয়েশিয়ান নিয়োগকর্তার নিয়মকানুন মেনে চলতে হবে। আপনাকে অবশ্যই নিয়োগকর্তার দেওয়া কাজ করতে হবে এবং নিয়োগকর্তার দেওয়া বেতন গ্রহণ করতে হবে।
মালয়েশিয়া ফ্যাক্টরি ভিসার জন্য আবেদন করার পূর্বে
মালয়েশিয়া ফ্যাক্টরি ভিসার জন্য আবেদন করার পূর্বে আপনাকে নিম্নলিখিত বিষয়গুলো বিবেচনা করতে হবে:
- আপনার শিক্ষাগত যোগ্যতা এবং কাজের অভিজ্ঞতা মালয়েশিয়ায় কাজের জন্য যথেষ্ট কিনা।
- আপনার নিয়োগকর্তার মালয়েশিয়ায় একটি বৈধ ব্যবসা আছে কি
মালয়েশিয়া ভিসা আবেদন চেক করার নিয়ম
মালয়েশিয়া ভিসা আবেদন চেক করার জন্য নিম্নলিখিত নিয়ম অনুসরণ করতে হবে:
- ১. eservices.imi.gov.my ওয়েবসাইট ভিজিট করুন।
- ২. “Visa Application Status” অপশনে ক্লিক করুন।
- ৩. আপনার পাসপোর্ট নম্বর এবং ভিসা আবেদন নম্বর লিখুন।
- ৪. “Submit” বাটনে ক্লিক করুন।
- ৫. আপনার ভিসা আবেদনের স্ট্যাটাস দেখানো হবে।
- ৬. যদি আপনার ভিসা আবেদন প্রত্যাখ্যান করা হয়, তাহলে কারণ উল্লেখ করা হবে।
মালয়েশিয়া ভিসা আবেদন চেক করার জন্য প্রয়োজনীয় তথ্য:
- পাসপোর্ট নম্বর
- ভিসা আবেদন নম্বর
মালয়েশিয়া ভিসা আবেদন চেক করার সময় সমস্যা হলে:
আপনি যদি মালয়েশিয়া ভিসা আবেদন চেক করার সময় কোন সমস্যার সম্মুখীন হন। তাহলে আপনি মালয়েশিয়ান ইমিগ্রেশন অফিসে যোগাযোগ করতে পারেন।
মালয়েশিয়া ভিসা আবেদন চেক করার জন্য কিছু টিপস:
- আপনার ভিসা আবেদন নম্বর এবং পাসপোর্ট নম্বর সঠিকভাবে লিখুন।
- আপনার ভিসা আবেদন প্রসেসিংয়ের জন্য যথেষ্ট সময় দিন।
- আপনার ভিসা আবেদন প্রত্যাখ্যান করা হলে, আপনি কারণগুলি বুঝতে চেষ্টা করুন এবং ভবিষ্যতে আপনার আবেদনটি আরও শক্তিশালী করতে পদক্ষেপ নিন।
মালয়েশিয়া কলিং ভিসা আবেদন
মালয়েশিয়া কলিং ভিসা হল একটি শ্রম ভিসা যা বাংলাদেশি নাগরিকদের জন্য মালয়েশিয়ায় কাজের সুযোগ প্রদান করে। এই ভিসার মাধ্যমে, বাংলাদেশিরা মালয়েশিয়ায় বিভিন্ন পেশায় কাজ করার সুযোগ পায়।
মালয়েশিয়া কলিং ভিসার জন্য আবেদন করার জন্য প্রয়োজনীয় নথিপত্র:
- পাসপোর্ট: আপনার পাসপোর্টের মেয়াদ কমপক্ষে ৬ মাস থাকতে হবে।
- ভিসা আবেদন ফর্ম: এই ফর্মটি মালয়েশিয়ান ইমিগ্রেশন অফিসের ওয়েবসাইট থেকে ডাউনলোড করা যায়।
- দুটি পাসপোর্ট সাইজের ছবি: ছবিগুলি অবশ্যই সাম্প্রতিক হতে হবে এবং আপনার পরিচয় স্পষ্টভাবে দেখাতে হবে।
- মেডিকেল সার্টিফিকেট: আপনার মেডিকেল সার্টিফিকেটটি একটি সরকারী হাসপাতাল বা মেডিকেল সেন্টার থেকে হতে হবে।
- অভিজ্ঞতার সার্টিফিকেট: আপনার যদি কোনও অভিজ্ঞতা থাকে, তাহলে সেই অভিজ্ঞতার সার্টিফিকেটগুলিও জমা দিতে হবে।
- শিক্ষাগত যোগ্যতার সার্টিফিকেট: আপনার শিক্ষাগত যোগ্যতার সার্টিফিকেটগুলিও জমা দিতে হবে।
- নাম পরিবর্তন সার্টিফিকেট (যদি থাকে): যদি আপনার নাম পরিবর্তন হয়ে থাকে, তাহলে সেই সার্টিফিকেটও জমা দিতে হবে।
- নিষ্পত্তি বা আয়ের সনদ: আপনার আর্থিক অবস্থা প্রমাণ করার জন্য একটি নিষ্পত্তি বা আয়ের সনদ জমা দিতে হবে।
- মালয়েশিয়ান নিয়োগকর্তার কাছ থেকে আমন্ত্রণপত্র: আপনার মালয়েশিয়ান নিয়োগকর্তার কাছ থেকে একটি আমন্ত্রণপত্র জমা দিতে হবে। এই আমন্ত্রণপত্রে আপনার নিয়োগের শর্তাবলী উল্লেখ থাকতে হবে।
মালয়েশিয়া কলিং ভিসার জন্য আবেদন করার পদ্ধতি:
- প্রথমে, আপনার পাসপোর্টের মেয়াদ চেক করুন। আপনার পাসপোর্টের মেয়াদ কমপক্ষে ৬ মাস থাকতে হবে।
- তারপর, মালয়েশিয়ান ইমিগ্রেশন অফিসের ওয়েবসাইট থেকে ভিসা আবেদন ফর্ম ডাউনলোড করুন।
- ফর্মটি পূরণ করুন এবং প্রয়োজনীয় নথিপত্র সংযুক্ত করুন।
- ফর্মটি মালয়েশিয়ান ইমিগ্রেশন অফিসে জমা দিন।
মালয়েশিয়া কলিং ভিসার জন্য আবেদনের ফি:
- জনসাধারণের জন্য: ৫০০ মার্কিন ডলার
- বয়স্কদের জন্য: ৪০০ মার্কিন ডলার
- ছাত্রদের জন্য: ৩০০ মার্কিন ডলার
মালয়েশিয়া কলিং ভিসার জন্য আবেদন প্রক্রিয়া সাধারণত এক থেকে দুই মাস সময় নেয়। আপনার ভিসা আবেদন প্রক্রিয়া দ্রুত সম্পন্ন করার জন্য, আপনি একটি মালয়েশিয়ান ভিসা প্রসেসিং এজেন্সির সাথে কাজ করতে পারেন।
মালয়েশিয়া কলিং ভিসার মেয়াদ:
- প্রথমবারের জন্য ভিসা: ১ বছর
- পরবর্তী ভিসা: ৩ বছর
মালয়েশিয়া কলিং ভিসার মাধ্যমে মালয়েশিয়ায় কাজ করার সুবিধা:
- মালয়েশিয়ায় একটি ভালো বেতন এবং সুযোগ-সুবিধা পাওয়া যায়।
- মালয়েশিয়ায় কাজ করার মাধ্যমে আপনি নতুন অভিজ্ঞতা অর্জন করতে পারবেন।
- মালয়েশিয়ায় কাজ করার মাধ্যমে আপনি মালয়েশিয়ার সংস্কৃতি এবং জীবনযাত্রার সাথে পরিচিত হতে পারবেন।
মালয়েশিয়া ভিসা কবে খুলবে 2024
সর্বশেষ আপডেট অনুযায়ী মালয়েশিয়া সরকার নতুন বিদেশী কর্মী নিয়োগ ও ভিসা প্রদান বন্ধ করেছে। যারা পূর্বে আবেদন করেছে ও যাদের আবেদন ডাটাবেজে রয়েছে, তারা পালাক্রমে মালয়েশিয়া যেতে পারবে। ২০ মার্চ ২০২৩ মালয়েশিয়ার সঙ্গে ওয়ার্কিং গ্রুপের মিটিং থেকে এই ঘোষণা জানানো হয়। নতুন করে ভিসা আবেদন গ্রহণ বন্ধ রয়েছে। পরবর্তী ঘোষণা না দেওয়া পর্যন্ত নতুন করে আবেদন গ্রহণ ও ভিসা প্রদান করবে না মালয়েশিয়া সরকার।
মালয়েশিয়া ভিসা আবেদন নিয়ে প্রশ্ন ও উত্তর
প্রশ্ন: মালয়েশিয়া ভিসা আবেদন করতে হলে কী কী যোগ্যতা থাকতে হবে?
উত্তর: মালয়েশিয়া ভিসা আবেদন করতে হলে নিম্নলিখিত যোগ্যতা থাকতে হবে:
- বাংলাদেশের নাগরিক হতে হবে।
- বৈধ পাসপোর্ট থাকতে হবে।
- স্বাস্থ্যসম্মত হতে হবে।
- মালয়েশিয়া সরকারের নির্ধারিত ভিসার জন্য আবেদন করতে হবে।
প্রশ্ন: মালয়েশিয়া ভিসার জন্য আবেদন করতে কত খরচ হয়?
উত্তর: মালয়েশিয়া ভিসার জন্য আবেদন ফি নির্ভর করে ভিসার ধরন, আবেদনকারীর বয়স এবং আবেদনকারীর ঠিকানাস্থলের উপর। সাধারণত, মালয়েশিয়া ভিসার জন্য আবেদন ফি ৫০ মার্কিন ডলার থেকে শুরু হয়।
প্রশ্ন: মালয়েশিয়া ভিসার জন্য আবেদন করার সময় কী কী কাগজপত্র জমা দিতে হবে?
উত্তর: মালয়েশিয়া ভিসার জন্য আবেদন করার সময় নিম্নলিখিত কাগজপত্র জমা দিতে হবে:
- পূরণ করা আবেদন ফরম
- পাসপোর্টের মূল কপি এবং জেরক্স
- ছবি (পাসপোর্ট সাইজের)
- টিকাদান সনদ
- মালয়েশিয়া সরকারের নির্ধারিত ভিসার জন্য আবেদন করা হলে, সে ক্ষেত্রে নির্ধারিত কাগজপত্র।
প্রশ্ন: মালয়েশিয়া ভিসার জন্য আবেদন করার সময় কী কী বিষয় মাথায় রাখতে হবে?
উত্তর: মালয়েশিয়া ভিসার জন্য আবেদন করার সময় নিম্নলিখিত বিষয় মাথায় রাখতে হবে:
- আবেদন ফরম সঠিকভাবে পূরণ করতে হবে।
- সকল কাগজপত্র স্পষ্ট এবং নির্ধারিত মানসম্মত হতে হবে।
- আবেদন ফরম এবং কাগজপত্রের সাথে আবেদনকারীর স্বাক্ষর থাকতে হবে।
- আবেদন ফি সঠিকভাবে জমা দিতে হবে।
প্রশ্ন: মালয়েশিয়া ভিসার আবেদন প্রক্রিয়া কতদিন সময় লাগে?
উত্তর: মালয়েশিয়া ভিসার আবেদন প্রক্রিয়া সাধারণত ১০ থেকে ১৫ দিন সময় লাগে। তবে, ভিসার ধরন এবং ভিসা আবেদনকারীর ঠিকানাস্থলের উপর নির্ভর করে এই সময়সীমা কমবেশি হতে পারে।
প্রশ্ন: মালয়েশিয়া ভিসা পেলে কতদিন মালয়েশিয়ায় থাকা যাবে?
উত্তর: মালয়েশিয়া ভিসার মেয়াদ ভিসার ধরন এবং ভিসা আবেদনকারীর ঠিকানাস্থলের উপর নির্ভর করে। সাধারণত, মালয়েশিয়া ভিসার মেয়াদ ৯০ দিন থেকে ১ বছর পর্যন্ত হয়।
প্রশ্ন: মালয়েশিয়া ভিসা নবায়ন করা যাবে কি?
উত্তর: হ্যাঁ, মালয়েশিয়া ভিসা নবায়ন করা যাবে। মালয়েশিয়া ভিসা নবায়ন করার জন্য মালয়েশিয়া সরকারের নির্ধারিত নিয়মকানুন অনুসরণ করতে হবে।
প্রশ্ন: মালয়েশিয়া ভিসা সংক্রান্ত তথ্য কোথায় পাওয়া যাবে?
উত্তর: মালয়েশিয়া ভিসা সংক্রান্ত তথ্য বাংলাদেশ সরকারের ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তর এবং মালয়েশিয়া সরকারের ওয়েবসাইটে পাওয়া যাবে।
আশা করি উপরের প্রশ্ন ও উত্তরগুলো মালয়েশিয়া ভিসা আবেদন সংক্রান্ত আপনার সকল প্রশ্নের উত্তর দেবে।
আরও দেখুনঃ
Saiful Islam 01776626008
I am very problem face so my visa declined by document Malaysia I am very interest so very very thank you harsh and very nice my dear sir thank you so much