ওমানে কোন কাজের চাহিদা বেশি | ওমানে কোন কাজের বেতন কত

ওমানে যে সকল কাজের চাহিদা বেশি ওই সকল কাজের ভিসা পাওয়া সহজ। এজন্য বাংলাদেশ থেকে অনেকেই এজেন্সি বা দালালের মাধ্যমে কর্মসংস্থানের জন্য ওয়ার্ক পারমিট ভিসা সংগ্রহ করে ওমান যাচ্ছে। হয়তো আপনি ওমান যেতে আগ্রহী। তবে …

ওমানে কোন কাজের চাহিদা বেশি

ওমানে যে সকল কাজের চাহিদা বেশি ওই সকল কাজের ভিসা পাওয়া সহজ। এজন্য বাংলাদেশ থেকে অনেকেই এজেন্সি বা দালালের মাধ্যমে কর্মসংস্থানের জন্য ওয়ার্ক পারমিট ভিসা সংগ্রহ করে ওমান যাচ্ছে। হয়তো আপনি ওমান যেতে আগ্রহী। তবে কোন কাজের ভিসা সংগ্রহ করবেন। তা নিয়ে সংশয় কাজ করে। কেননা বাংলাদেশের অনেক এজেন্সি এবং দালাল রয়েছে। তারা যে কাজের কথা উল্লেখ করে। দেখা যায় ওমান যাওয়ার পর সেই কাজ দেয়া হয় না এবং বেতন কম দেয়া হয়। এ ক্ষেত্রে আপনি যদি অনলাইনে অনুসন্ধান করে থাকেন। ওমানে কোন কাজের চাহিদা বেশি এবং কোন কাজের বেতন বেশি।

এক্ষেত্রে বিদেশ ভ্রমনে অনেকটাই সহজ হয়ে উঠবে। ওমানের কাজের ভিসার বেতন কত জেনে। সে কাজের অভিজ্ঞতা অর্জন করে ভিসা সংগ্রহ করুন। এখান থেকে দেখুন ওমানের সর্বোচ্চ বেতন কত। এবং সর্বনিম্ন বেতন কত। ওমানে কাজের বেতন কত জানতে সম্পুর্ন পোস্ট পড়ুন।

ওমানে কোন কাজের চাহিদা বেশি

ওমানে কর্মসংস্থান গড়ে তুলেছে বাংলাদেশের অনেকেই। বিভিন্ন কাজের ভিসায় এদেশে কাজ করে যাচ্ছে। যারা ওমানে যেতে চাচ্ছে। ওমানের ভিসার সংগ্রহ করার পূর্বে। জানতে চাচ্ছে কোন ভিসায় গেলে। বেশি টাকার রোজগার করা যাবে। আর কোন কাজের চাহিদা সবথেকে বেশি। যে সকল কাজের চাহিদা একটু বেশি ঐ সকল কাজের বেতন বেশি।

  • হোটেল বা রেস্টুরেন্ট এর কাজ
  • ক্লিনার এর কাজ
  • ইলেকট্রিশিয়ান এর কাজ
  • কনস্ট্রাকশনের কাজ
  • ড্রাইভিং এর কাজ
  • কৃষিকাজ
  • প্লাম্বার এর কাজ
  • বাগানের কাজ
  • ওয়েটার এর কাজ
  • কোম্পানির কাজ

ওমানের কোন কাজের বেতন কত

ওমানে হোটেল বা রেস্টুরেন্ট এর কাজে যাওয়ার সুযোগ রয়েছে। এই কাজে ওমানের ১৫০ রিয়াল থেকে ১৬০ রিয়াল উপার্জন করা যায়। যা বাংলাদেশী টাকায় ৪০ হাজার থেকে ৪৫ হাজার টাকা।

ড্রাইভিং এর কাজে ওমানের ১৫০ রিয়াল থেকে ২২০ রিয়াল। বাংলাদেশি টাকায় ৪০ হাজার থেকে ৬২ হাজার টাকা রোজগার করা সম্ভব।

এদেশেও ইলেকট্রিশিয়ানদের বেশ গুরুত্ব দেয়া হয়। এজন্য ইলেকট্রিশনদের ৩০০ থেকে ৪১০ রিয়াল দেওয়া হয়। বাংলাদেশি টাকায় ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকা।

অন্যান্য দেশের মতো ক্লিনার এর কাজের বেতন কম। ক্লিনার এর কাজে ১০০ থেকে ১৫০ রিয়াল রোজগার করা যায়। প্রথম অবস্থায় এই কাজে ২৫ হাজার টাকা বা তার থেকে একটু বেশি পাওয়া যায়। ধীরে ধীরে বেতন বেড়ে যাওয়ার পর। ৪০ থেকে ৫০ হাজার টাকা রোজগার করা যায়।

কনস্ট্রাকশন কাজের বেতন ১৫০ রিয়াল থেকে ২০০ রিয়াল। বাংলাদেশি টাকায় ৪০ হাজার থেকে ৬০ হাজার টাকা পাওয়া যায়।

ওমানে প্লাম্বার এর কাজে ১৫০ রিয়াল থেকে ২০০ রিয়াল রোজগার করা যায়। কাজের অভিজ্ঞতা বেড়ে গেলে এর থেকে বেশি রোজগার করা সম্ভব যা বাংলাদেশি টাকায় ৪০ হাজার থেকে ৭০ হাজার টাকা।

ওমানে বাংলাদেশী শ্রমিকদের বেতন কত

বাংলাদেশের অনেক এজেন্সি রয়েছে, তাদের মাধ্যমে ওমানের শ্রমিকের ভিসা সংগ্রহ করা যায়। বাংলাদেশ থেকে অনেক শ্রমিক ওমানে কাজ করে যাচ্ছে কর্মসংস্থান গড়ে তুলছে। বাংলাদেশের শ্রমিকদের ওমানের রিয়াল দেয়া হয় কাজের উপর নির্ভর করে। শ্রমিকদের বিভিন্ন ধরনের কাজ করতে হয়। কনস্ট্রাকশন শ্রমিকদের যে বেতন দেয়া হয় ৪০ হাজার থেকে ষাট হাজার টাকা।

ওমান ড্রাইভিং ভিসা বেতন কত

ড্রাইভিং এর কাজে যাওয়ার জন্য ড্রাইভিং এর উপর অভিজ্ঞতা অর্জন করতে হবে। এরপর কোন এজেন্সি বা দালালের মাধ্যমে এ ভিসা সংগ্রহ করতে হবে। যেহেতু ড্রাইভিং এর কাজের বেশ গুরুত্ব রয়েছে। এজন্য এ কাজের চাহিদা অনেকটাই বেশি। যারা এই কাজে যাবে প্রথম অবস্থায় বেতন কম হলেও ধীরে ধীরে বেড়ে যাবে। এই কাজে ৪০ থেকে ৬০ হাজার টাকা রোজগার করা যায়।

ওমান কাজের বেতন কত

শ্রমিকদের বেতন, ইলেক্ট্রিশিয়ানদের বেতন এবং অন্যান্য কাজের ধরন অনুযায়ী বেতন ভিন্ন হয়। কোম্পানির অধীনে যারা কাজ করে যাচ্ছে। কোম্পানির নির্ধারিত বেতন পায়। তবে অন্যান্য দেশের অনুযায়ী এদেশের বেতন কারো কাছে বেশি মনে হতে পারে। আবার কারো কাছে কম মনে হতে পারে। ওমান যেতে যে টাকা লাগে আশা করা যায় এদেশের কাজ পাওয়ার পর। তা সহজেই উঠিয়ে নেয়া যায়। তবে একটি ভাল কাজের উপর ভিসা নিয়ে যেতে পারলে। এ দেশ থেকে অনেক টাকায় রোজগার করা যাবে।

ওমানে সর্বোচ্চ বেতন কত

যে দেশেই কর্মসংস্থান গড়ে তোলা হোক না কেন। সর্বনিম্ন বেতন ও সর্বোচ্চ বেতন রয়েছে। কি কাজের জন্য ভিসা সংগ্রহ করছেন। তার উপর নির্ভর করে বেতন পাবেন। ওমানে অনেক কোম্পানি রয়েছে। ওই সকল কোম্পানি থেকে এক লক্ষ থেকে দেড় লক্ষ টাকা রোজগার করা সম্ভব। এখানে নির্ভর করবে আপনি কোন কাজে যাচ্ছেন। এবং কাজের উপর কতটুকু অভিজ্ঞতা অর্জন করতে পারছেন।

ওমানে সর্বনিম্ন বেতন কত

ওমানে বিভিন্ন কাজের চাহিদা থাকায় এদেশে অনেকেই কর্মসংস্থান গড়ে তুলেছে। যেহেতু সর্বনিম্ন বেতন রয়েছে। সে অনুযায়ী অনেকেই তাতে আগ্রহী প্রকাশ করে। তাহলে জেনে রাখুন ও মানে সর্বনিম্ন বেতন ২৫ হাজার টাকা। এর থেকে বেশি টাকা রোজগার করা সম্ভব। একটি কাজের অভিজ্ঞতা অর্জন করে। ভিসা সংগ্রহ করুন। তাহলে ৪০ থেকে ৫০ হাজার টাকা। এর থেকে বেশি টাকা রোজগার করতে পারবেন। ভালো কোম্পানিতে যাওয়ার চেষ্টা করুন। এতে করে টাকা রোজগার করতে পারবেন।

ওমানের সর্বনিম্ন বেতন কত। সর্বোচ্চ বেতন কত। কোন কাজে চাহিদা বেশি। এবং বেতন বেশি তা উল্লেখ করা হয়েছে। আশা করা যায় এই পোস্ট আপনাদের উপকারে এসেছে।

আরও দেখুনঃ

সিঙ্গাপুরে কোন কাজের চাহিদা বেশি | বিভিন্ন কাজের বেতন কত

মালয়েশিয়া কনস্ট্রাকশন কাজের বেতন কত 2024 | রাজমিস্ত্রী, ইলেকট্রিশিয়ান, প্লাম্বার ও সাধারণ শ্রমিক

কানাডা কোন কাজের চাহিদা বেশি ও কোন কাজের বেতন কত ২০২৪

কুয়েতের কোন কাজের চাহিদা বেশি এবং বেতন কত ২০২৪

Leave a Comment