২৫ ফেব্রুয়ারি রোজ রবিবার দিবাগত রাতে শবে বরাত পালন করা হবে। এ রাতে সকল মুসলমান নফল ইবাদত করে থাকে। শবে বরাতের নামাজ কি সুন্নত নাকি নফল? এই প্রশ্ন অনেকে করে থাকেন। শবে বরাতের নামাজ নফল ইবাদত। তাই যারা এই রাতে আল্লাহর কাছে ক্ষমা পাওয়ার জন্য ইবাদত করবেন। তাদের জন্য তুলে ধরা হয়েছে কিভাবে শবে বরাতের নামাজ পড়বেন তার নিয়ম। আরো জানতে পারবেন শবে বরাতের নামাজ কয় রাকাত। শবে বরাতের নামাজের শেষে কি বলে দোয়া করলে, আল্লাহ কবুল করবে তাড়াতাড়ি সে সম্পর্কে বিস্তারিত ধারণা দেওয়া হয়েছে।
শবে বরাতের কোন নামাজ আছে? শবে বরাতের নফল নামাজ আছে। যা শবে বরাতের দিন এশার নামাজের পরে পড়তে হয়। শবে বরাতের নামাজের নিয়ত বাংলা উচ্চারণ দেওয়া হয়েছে আজকের এই পোস্টে। আবার যারা কুরআন পড়তে পারেন তাদের জন্য শবে বরাতের নামাজের আরবি নিয়ত দেওয়া হয়েছে। অনেকেই আছেন শবে বরাতের নামাজ কোন সূরা দিয়ে পড়বেন তা জানার জন্য অনুসন্ধান করেন। তাই আপনাদের জন্য এখানে শবে বরাতের নামাজের সূরা দেওয়া হয়েছে।
শবে বরাতের নামাজ কত রাকাত
সাধারণত শবে বরাতের নামাজ ২, ৪, ৬, ৮, ১০, ১২ রাকাত করে পড়তে হয়। অর্থাৎ আপনি ২ রাকাত অথবা ৪ রাকাত বা আরো বেশি পড়তে পারেন। তবে অবশ্যই ২ রাকাত করে পড়তে হবে। এশার নামাজের পরে বিতর নামাজ পড়া বাদ রেখে। ২ রাকাত করে লাইলাতুল বরাতের নফল নামাজ পড়তে থাকবেন। এই নামাজ ফজরের নামাজের ওয়াক্ত শুরু হওয়ার আগ পর্যন্ত পড়া যাবে। sobe borat er namaz koto rakat এই প্রশ্নের উত্তর আশা করি খুঁজে পেয়েছেন।
শবে বরাতের নামাজের নিয়ম
শবে বরাতের নামাজ সকল মুসলমানের জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ। শবে বরাতকে অনেকেই ভাগ্য রজনী বলে থাকে। অন্যদিকে প্রচলিত আছে এ রাতে আল্লাহ নিচ আকাশে নেমে আসে। তাই যারা রাত জেগে আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করে আল্লাহ তাদের ক্ষমা করে দেন। যার জন্য পুরো বিশ্বে সকল মুসলমান শবে বরাতের রাতে নফল ইবাদত পালন করে। নামাজ পড়ার সাথে সাথে জিকির ও দোয়া করে।
শবে বরাতের নামাজের সময়: শবে বরাতের রাতে ইশার পর থেকে সারারাত যেকোনো সময় নামাজ পড়া যায়। তবে, রাতের শেষ তৃতীয়াংশে নামাজ পড়া উত্তম।
শবে বরাতের নামাজের রাকাত: শবে বরাতের নামাজের নির্দিষ্ট কোনো রাকাত নেই। সাধারণত, ২, ৪, ৬, ৮, ১২ রাকাত করে নামাজ পড়া হয়। ইচ্ছা অনুযায়ী এর বেশি বা কম রাকাতও পড়া যায়।
শবে বরাতের নামাজের নিয়ম: অন্য নফল নামাজের মতো করে দুই রাকাত করে নামাজ পড়া যাবে। প্রতি রাকাতে সূরা ফাতিহার পর যেকোনো সূরা পড়া যাবে। রুকু ও সিজদা আদায়ের পর সালাম ফিরিয়ে দু’রাকাত নামাজ শেষ করতে হবে।
কিছু বিশেষ নামাজ:
- ৪ রাকাত তহিয়াতুল অজুর নামাজ: প্রতি রাকাতে সূরা ফাতিহার পর একবার আয়াতুল কুরসি এবং তিনবার ক্বুলহু আল্লাহ (সূরা এখলাছ) পড়তে হবে।
- শবে বরাত ২ রাকাত নফল নামাজ: প্রতি রাকাতে সূরা ফাতিহার পর একবার আয়াতুল কুরসি এবং ১৫ বার করে সূরা এখলাছ পড়তে হবে। সালাম ফিরিয়ে ১২ বার দুরূদ শরীফ পড়তে হবে।
- শবে বরাত ৮ রাকাত নফল নামাজ: দুই রাকাত করে চার ভাগে নামাজ পড়তে হবে। প্রতি রাকাতে সূরা ফাতিহার পর ৫ বার করে সূরা এখলাছ পড়তে হবে।
- শবে বরাত দোয়া ও তাসবিহ: নামাজের পর দোয়া-দরুদ, তাসবিহ-তাহলিল পড়া, জিকির করা, কোরআন তেলাওয়াত করা। রাতের শেষভাগে কিছুক্ষণ ঘুমিয়ে ভোরে তাহাজ্জুদের নামাজ পড়া।
- শবে বরাতের ফজিলত: এ রাতে আল্লাহ তায়ালা বান্দাদের গুনাহ মাফ করেন। এ রাতে আল্লাহ তায়ালা বান্দাদের ভাগ্য লিখে দেন। এ রাতে আল্লাহ তায়ালা বান্দাদের দোয়া কবুল করেন।
শবে বরাতের নামাজের ব্যাপারে হাদিসে স্পষ্ট কোন নির্দেশনা নেই। তবে, অনেক সাহাবী ও তাবেয়ী এই রাতে বিশেষ নামাজ পড়তেন। তাই, শবে বরাতের নামাজ পড়া একটি مستحب عمل। আল্লাহ তায়ালা আমাদের সকলের গুনাহ মাফ করে আমাদের দোয়া কবুল করুন। আমীন।
শবে বরাতের নামাজের নিয়ম ও দোয়া
শবে বরাতের নামায পড়তে চাইলে আপনাকে নিয়ম ও দোয়া জানতে হবে। এখানে আপনাদের জন্য শবে বরাত নামাজের নিয়ম ও কোন সূরা দিয়ে নামায পরবেন তার বিস্তারিত দেওয়া হয়েছে। শবে বরাতের রাতে এশার নামাজের পরে শবে বরাতের নামাজ পড়তে হয়। সাধারণত সূরা ফাতিহার সাথে যে কোন সূরা পাঠ করে শবে বরাতের নামাজ পড়া যায়।
শবে বরাতের সন্ধ্যায় নামাজের নিয়ম: এই রাতে মাগরিব নামাজের পর হায়াতের বরকত, ঈমানের হেফাযত ও অন্যের মুখাপেক্ষী না হওয়ার জন্য। দুই রাকাত করে, মোট ৬ রাকাত নফল নামায পড়া উত্তম।
শবে বরাতের দুই রাকাত নফল নামায পড়ার নিয়মঃ প্রতি রাকাতে সূরা ফাতিহা পড়ার পর, ১ বার আয়াতুল কুরসী ও ১৫ বার করে সূরা ইখলাছ শরীফ। অতপর সালাম ফিরানোর পর ১২ বার দুরূদ শরীফ। ফযীলত বর্ণনাঃ রুজিতে রবকত, দুঃখ-কষ্ট হতে মুক্তি লাভ করবে, গুনাহ হতে মাগফিরাতের বখসিস পাওয়া যাবে।
শবে বরাতের ৮ রাকাত নফল নামায পড়ার নিয়মঃ দুই রাকাত করে পড়তে হবে। প্রতি রাকাতে সূরা ফাতিহার পর , সূরা ইখলাছ ৫ বার করে। একই নিয়মে বাকি সব। ফযীলত বর্ণনাঃ গুনাহ থেকে পাক হবে , দু’আ কবুল হবে ও বেশী বেশী নেকী পাওয়া যাবে।
শবে বরাতের ১২ রাকাত নফল নামায পড়ার নিয়মঃ দুই রাকাত করে। প্রতি রাকাতে সূরা ফাতিহার পর, ১০ বার সূরা ইখলাছ। এই নিয়মে বাকি নামায শেষ করে, ১০ বার কালেমা তাওহীদ, ১০ বার কালেমা তামজীদ ও ১০ বার দুরূদ শরীফ।
শবে বরাতের ১৪ রাকাত নফল নামায পড়ার নিয়মঃ দুই রাকাত করে। প্রতি রাকাত সূরা ফাতিহার পর যে কোন একটি সূরা পড়ুন। ফযীলত বর্ণনাঃ যে কোন দু’আ চাইলে তা কবুল হবে।
শবে বরাতের ৪ রাকাত নফল নামায পড়ার নিয়মঃ ১ সালামে পড়তে হবে। প্রতি রাকাতে সূরা ফাতিহা পর ৫০ বার সূরা ইখলাছ শরীফ। ফযীলত বর্ণনাঃ গুনাহ থেকে এমনভাবে পাক হবে যে সদ্য মায়ের গর্ভ হতে ভুমিষ্ঠ হয়েছে।
শবে বরাত নামাজের নিয়ম
লাইলাতুল বরাত বা শবে বরাতের নামাজ পড়ার নিয়ম অনেক সহজ। অন্যান্য নফল নামাজের মতই শবে বরাতের নামাজ পড়তে হয়। শবে বরাতের নামাজ পড়তে হলে আপনাকে প্রথম মনে মনে নিয়ত করতে হবে। আপনি আরবি নিয়ত না জানলেও হবে। বাংলাতে শবে বরাতের নামাজের নিয়ত করে আল্লাহু আকবার বলে হাত বাঁধবেন। পরবর্তীতে সানা পাঠ করবেন, এখন সুরা ফাতিহা পাঠ করুন। সুরা ফাতিহা পাঠ করা শেষ হলে কুরআন থেকে যেকোনো আরেকটি সূরা মিলিয়ে পড়ুন। এখন অন্যান্য রাকাত এর মত রুকু সিজদা করুন। আপনি চাইলে আয়তুল কুরসি ও তিনবার সূরা ইখলাস পড়ে রুকু করতে পারেন। প্রথম রাকাতের ন্যায় দ্বিতীয় রাকাত শেষ করুন। দ্বিতীয় রাকাতের বৈঠকে বসে তাশাহুদ, দরুদ শরীফ ও দোয়া মাসুরা পড়ে সালাম ফেরান। এইভাবে দুই রাকাত করে যত খুশি তত শবে বরাতের নফল নামাজ পড়ুন।
মহিলাদের শবে বরাতের নামাজের নিয়ম
আমাদের বাড়িতে মা ও বোনেরা অনেকেই আছেন যারা শবে বরাতের নামাজ পড়ে থাকেন। কিন্তু তারা জানে না কিভাবে শবে বরাতের নামাজ পড়তে হয়। তাদের জন্য এখানে শবে বরাতের নামাজ পড়ার বিস্তারিত তথ্য দেওয়া হয়েছে।
- সর্বপ্রথম শবে বরাতের নামাজ পড়ার নিয়ত করবেন
- এখন আল্লাহু আকবার বলে বুকে হাত বাঁধবেন
- পরবর্তী ধাপে সানা পাঠ করুন, সানা পাঠ করা হয়ে গেলে সুরা ফাতিহা পাঠ করুন
- সূরা ফাতিহা পাঠ করার পর কোরআনুল কারীম থেকে যেকোনো আরেকটি সূরা পাঠ করুন
- পাঠ করা হয়ে গেলে অন্যান্য রাকাতের ন্যায় রুকু ও সেজদা করুন
- প্রথম রাকাতের মত করে দ্বিতীয় রাকাত শেষ করুন
- এখন তাশাহুদ দরুদ শরীফ ও দোয়া মাসুরা পড়ুন ও সালাম ফেরান
- একইভাবে দুই রাকাত করে যত খুশি তত শবে বরাতের নামাজ পড়ুন।
- দুই রাকাত পর পর মাঝেমাঝে জিকির ও আল্লাহর কাছে দোয়া প্রার্থনা করুন।
শবে বরাতের নামাজের দোয়া
শুরু করার দোয়া: اللَّهُمَّ إِنِّي أَعُوذُ بِكَ مِنَ الشَّيْطَانِ الرَّجِيمِ | উচ্চারণ: আল্লাহুম্মা ইন্নী আ’উযুবিকা মিনাশ শাইতানির রাজিম
বাংলা অর্থ: হে আল্লাহ! আমি শয়তানের পথভ্রষ্টতা থেকে তোমার কাছে আশ্রয় চাই।
নামাজের পর দোয়া: اللَّهُمَّ إِنَّكَ عَفُوٌّ كَرِيمٌ تُحِبُّ الْعَفْوَ فَاعْفُ عَنِّي | উচ্চারণ: আল্লাহুম্মা ইন্নাকা আ’ফুন কারীমুন্ তুহিব্বুল ‘আফ্ফা ফা’আফু ‘আন্নী
বাংলা অর্থ: হে আল্লাহ! তুমি অতি ক্ষমাশীল, পরম দানশীল, ক্ষমা করতে ভালোবাসো। সুতরাং আমাকে ক্ষমা করে দাও।
শবে বরাতের রাতে অন্যান্য দোয়া: اللَّهُمَّ إِنِّي أَسْأَلُكَ الْعَفْوَ وَالْعَافِيَةَ فِي الدُّنْيَا وَالْآخِرَةِ | উচ্চারণ: আল্লাহুম্মা ইন্নী আস’আলুকা আল-‘আফ্ফা ওয়া আল-‘আফিয়াতা ফিদ্ দুনইয়া ওয়া আল-আখিরাত
বাংলা অর্থ: হে আল্লাহ! আমি তোমার কাছে দুনিয়া ও আখিরাতে ক্ষমা ও সুস্থতা চাই।
اللَّهُمَّ إِنِّي أَسْأَلُكَ الْجَنَّةَ وَنَعِيمَهَا وَأَعُوذُ بِكَ مِنَ النَّارِ وَعَذَابِهَا | উচ্চারণ: আল্লাহুম্মা ইন্নী আস’আলুকা আল-জান্নাতা ওয়া না’ঈমাহা ওয়া আ’উযুবিকা মিনান্নারি ওয়া ‘আযাবিহা
বাংলা অর্থ: হে আল্লাহ! আমি তোমার কাছে জান্নাত ও তার নেয়ামত চাই এবং জাহান্নাম ও তার আযাব থেকে তোমার কাছে আশ্রয় চাই।
اللَّهُمَّ إِنِّي أَسْأَلُكَ الْهُدَى وَالتُّقَى وَالْعِفَافَ وَالْغِنَى | উচ্চারণ: আল্লাহুম্মা ইন্নী আস’আলুকা আল-হুদা ওয়াত্তুক্বা ওয়া আল-‘ইফাফা ওয়া আল-গিনা
বাংলা অর্থ: হে আল্লাহ! আমি তোমার কাছে হেদায়েত, তাকওয়া, ঈমান ও সম্পদ চাই।
উচ্চারণ: আল্লাহুম্মাগফিরলি জামবি, ওয়া ওয়াসসি’লি ফি দারি, ওয়া বারিক লি রিজকি। (নাসাঈ)
বাংলা অর্থ: হে আল্লাহ! আমার গোনাহ মাফ করে দাও। আমার জন্য আমার বাসস্থান প্রশস্ত করে দাও। এবং আমার রিজিকে বরকত দিয়ে দাও।
আপনি আপনার প্রয়োজন অনুযায়ী অন্যান্য দোয়াও করতে পারেন।
শবে বরাতের নামাজ কিভাবে পড়তে হয়
২৫ ফেব্রুয়ারি রোজ রবিবার এশার নামাজের পরে শবে বরাতের নামাজ পড়তে হবে। সেখানে সূরা ফাতিহার সাথে কোরআনের যে কোন সূরা দিয়ে এই নামাজ পড়া যাবে। নফল ইবাদত আপনি আপনার ইচ্ছামত করবেন। দুই রাকাত করে যত খুশি তত শবে বরাতের নামাজ পড়া যাবে। নামাজের ফাঁকে বেশি বেশি আল্লাহর জিকির করুন ও আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করুন। যার যার মনের দোয়া আল্লাহর কাছে বলুন।
শবে বরাত নিয়ে প্রশ্ন ও উত্তর
প্রশ্নঃ শবে বরাত কি?
উত্তরঃ শবে বরাত হলো ইসলাম ধর্মের একটি গুরুত্বপূর্ণ রজনী। এটি শাবান মাসের ১৪ তারিখ রাতে পালিত হয়। এই রাতকে ‘ফযিলতের রজনী’, ‘লাইলাতুল বরাত’, ‘মুবারক রাত’ এবং ‘রাতে বরাত’ও বলা হয়।
প্রশ্নঃ শবে বরাতের তাৎপর্য কি?
উত্তরঃ শবে বরাতকে বলা হয় ‘ফযিলতের রজনী’। এই রাতে আল্লাহ তায়ালা তার বান্দাদের ভাগ্যলিপি লিখে থাকেন। এছাড়াও, এই রাতে আল্লাহ তায়ালা তার বান্দাদের ক্ষমা করে থাকেন।
প্রশ্নঃ শবে বরাতের রাতে কী কী করা উচিত?
উত্তরঃ শবে বরাতের রাতে নানা ধরনের আমল করা হয়। এর মধ্যে রয়েছে:
- রাত জেগে ইবাদত করা।
- নফল নামাজ পড়া।
- তাহাজ্জুদ নামাজ পড়া।
- কুরআন তেলাওয়াত করা।
- দোয়া-মুনাজাত করা।
- আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করা।
- গরিব-দুঃখীদের সাহায্য করা।
প্রশ্নঃ শবে বরাতের রাতে কী কী করা উচিত নয়?
উত্তরঃ শবে বরাতের রাতে কিছু বিষয় করা উচিত নয়। এর মধ্যে রয়েছে:
- গান বাজনা করা।
- নাচ গান করা।
- খাওয়া-দাওয়া করা।
- ঘুমিয়ে থাকা।
প্রশ্নঃ শবে বরাত সম্পর্কে কিছু ভুল ধারণা:
উত্তরঃ শবে বরাত সম্পর্কে অনেক ভুল ধারণা প্রচলিত আছে। এর মধ্যে কয়েকটি হলো:
- এই রাতে বিশেষ কিছু নামাজ পড়লে হাজার হাজার গুণা সওয়াব পাওয়া যায়।
- এই রাতে কবর জিয়ারত করলে পূর্বপুরুষদের গুনাহ মাফ হয়ে যায়।
- এই রাতে কবর থেকে মৃতদের আত্মা বেরিয়ে আসে।
এই ধারণাগুলোর কোন ভিত্তি নেই। শবে বরাতের রাতে অন্যান্য রাতের চেয়ে বেশি আমল করা উচিত হলেও। বিশেষ কোন আমলের কোন নির্দিষ্ট সওয়াব নেই। তবে আপনি সঠিকভাবে আমল করলে, আল্লাহ চাইলে আপনার দোয়া কবুল করতে পারেন।
প্রশ্নঃ শবে বরাতের নামাজ কয় রাকাত
উত্তরঃ ২ রাকাত করে আপনি যতো খুশি নফল নামায পড়তে পারেন।
শবে বরাত সম্পর্কে আরও জানতে, আপনি আপনার এলাকার আলেম-উলামাদের সাথে কথা বলতে পারেন। আপনি ইসলামী বই-পত্র পড়তে পারেন। আপনি ইন্টারনেটে অনুসন্ধান করতে পারেন। আশা করি এই তথ্যগুলো আপনার কাজে লাগবে।
আরও দেখুনঃ