বাংলাদেশ থেকে আমেরিকা যাওয়ার বিষয়টি সহজ নয়। কেননা বাংলাদেশ থেকে আমেরিকার ভিসা সংগ্রহ করা অনেকটাই কষ্টসাধ্য। এর পাশাপাশি আমেরিকার ভিসা পেতে যোগ্যতা লাগে। আমেরিকা যেতে কত টাকা লাগে। আমেরিকা যাওয়ার উপায় কি, আমেরিকা যাওয়ার যোগ্যতা কি, আমেরিকার বিমান ভাড়া কত। এই সকল বিষয় জানতে হয়। কেননা বাংলাদেশ থেকে ইতিমধ্যে অনেকেই আমেরিকায় কর্মসংস্থান গড়ে তুলেছে। এজন্য বাংলাদেশের অনেকেই আমেরিকায় কর্মসংস্থান গড়ে তুলতে চায়। আমেরিকার ওয়ার্ক পারমিট ভিসা হোক অথবা টুরিস্ট ভিসা। আমেরিকার যেকোনো ভিসার দাম বেশি।
এক্ষেত্রে আমেরিকা যেতে কত টাকা লাগবে। তা নির্ভর করে ভিসা ধরন, পাসপোর্ট, বিমান ভাড়া ও অন্যান্য বিষয়ের উপর। যদি আমেরিকার কারো মাধ্যমে ভিসা সংগ্রহ করতে পারেন। তাহলে টাকা কম লাগবে। আমেরিকা যাওয়ার যোগ্যতা ও কত টাকা লাগে। এখানে উল্লেখ করা হয়েছে এখান থেকে দেখে নিন।
আমেরিকা যেতে কত টাকা লাগে
আমেরিকা যেতে কত টাকা লাগে তা নির্ভর করে বিভিন্ন বিষয়ে উপর। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য ভিসা, পাসপোর্ট। আপনি কোন ধরনের ভিসা সংগ্রহ করতে চাচ্ছেন। এবং কার মাধ্যমে ভিসা সংগ্রহ করবেন। এজেন্টের মাধ্যমে না দালালের মাধ্যমে। যদি এজেন্ট বা দালালের মাধ্যমে ভিসা সংগ্রহ করেন। তাহলে বেশি টাকা লাগবে। আমেরিকায় কর্মসংস্থান গড়ে তুলেছে যদি কেউ থাকে। তার মাধ্যমে ভিসা সংগ্রহ করলে কম লাগবে।
বাংলাদেশ থেকে আমেরিকা যেতে কত টাকা লাগে
বাংলাদেশ থেকে আমেরিকায় ভিজিট ভিসা বা টুরিস্ট ভিসা চালু আছে। আমেরিকার ভিজিট ভিসা, স্টুডেন্ট ভিসায় যেতে বাংলাদেশের ৫ লক্ষ থেকে ১০ লক্ষ টাকা মধ্যে যাওয়া যায়। যদি এজেন্সির মাধ্যমে বা দালালের মাধ্যমে যেতে চাইলে ৫ লক্ষ থেকে ১৫ লক্ষ টাকা লাগবে। বিমানের টিকিট বুকিং, বিমানের টিকিট, ভিসা, পাসপোর্ট এ টাকা লাগবে। ওয়ার্ক পারমিট ভিসায় যেতে প্রায় ১৫ লক্ষ টাকা লাগে।
আমেরিকা ভিসা পাওয়ার যোগ্যতা
আমেরিকার ভিসা পাওয়ার সহজ নয়। সংগ্রহ করার জন্য কিছু যোগ্যতা লাগে। যে বিষয়গুলো জেনে রাখতে হবে। আমেরিকার ভিসা পাওয়ার জন্য। আমেরিকা ভিসা পাওয়ার জন্য যা লাগবে। আমেরিকার ভিসা আবেদন করা যাবে। যদি কাজের প্রতি দক্ষতা থাকে। কাজের প্রতি যেমন দক্ষতা দেখাতে হবে তেমনি ইংরেজিতে ভালোভাবে কথা বলতে হবে।
- ভিসা আবেদন নিজে থেকে করলে ভালো হবে।
- ইংরেজিতে ভালো দক্ষতা অর্জন করতে হবে
- আপনি যে ধরনের ভিসা করতে চাচ্ছেন, তা সঠিকভাবে আবেদনের ফরমটি পূরণ করতে হবে।
- ব্যাংক একাউন্ট থাকতে হবে এবং স্টেটমেন্ট লাগবে।
- বৈধ পাসপোর্ট লাগবে ও সর্বনিম্ন মেয়াদ থাকতে হবে ৬ মাস।
- পাসপোর্ট এর ফাঁকা পৃষ্ঠা থাকতে হবে
- কোন দেশে যদি ভ্রমণ করে থাকেন তা উল্লেখ করতে হবে।
- কর্মসংস্থান গড়ে তুলতে চাইলে, ওয়ার্ক পারমিট ভিসা সংগ্রহ করতে হবে।
বাংলাদেশ থেকে আমেরিকা বিমান ভাড়া কত
সাধারণত যে সকল এয়ারলাইন্সের বিমান বাংলাদেশের সাথে সংযুক্ত রয়েছে। প্রত্যেকটি এয়ারলাইন্সের বিমান ভাড়া আলাদা। বাংলাদেশ থেকে আমেরিকা যাওয়া সহজ নয়। যে সকল এয়ারলাইন্সে রয়েছে, প্রত্যেকটি এয়ারলাইন্সের টিকিট মূল্য বেশি। এক্ষেত্রে যারা আমেরিকার ওয়ার্ক পারমিট ভিসা। অথবা অন্য কোন ভিসা সংগ্রহ করবে। তারা যে সকল এয়ারলাইন্সের মাধ্যমে যেতে পারবে টিকিট মূল্য বেশি। বাংলাদেশ থেকে বিমানের সাহায্যে আমেরিকা পৌঁছাতে সর্বনিম্ন প্রায় ৮২,৬৬৩ টাকা থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ প্রায় ৪ লাখ ৪৯,৭০৭ টাকা দিয়ে একটি ইকোনমিক ক্লাসের টিকেট ক্রয় করতে হবে।
বাংলাদেশ থেকে আমেরিকা যেতে কত সময় লাগে
বাংলাদেশ থেকে আমেরিকা পৌঁছাতে প্রথমে দুবাই যেতে হবে। এরপর দুবাই থেকে আমেরিকার পৌছাতে হবে। তাহলে দুবাই যেতে যে সময় লাগবে। তার থেকে বেশি সময় লাগবে আমেরিকায় পৌঁছাতে। সাধারণত বাংলাদেশ থেকে দুবাই পৌঁছাতে পাঁচ থেকে ছয় ঘন্টা লাগে। এবং দুবাই থেকে আমেরিকায় পৌঁছাতে ১৮ থেকে ২০ ঘন্টা লাগে। তাহলে বাংলাদেশ থেকে আমেরিকায় পৌঁছাতে প্রায় ২৪ থেকে ২৬ ঘন্টা লাগে। এজন্য বাংলাদেশ থেকে আমেরিকা যাওয়া সহজ নয়।
বাংলাদেশ থেকে আমেরিকা যাওয়ার উপায়
বাংলাদেশ থেকে আমেরিকার ভিসা সংগ্রহ করা অনেকটাই কষ্টসাধ্য। বাংলাদেশ থেকে আমেরিকা যাওয়ার ভালো মাধ্যম হচ্ছে দুবাই। দুবাই থেকে ভিসা সংগ্রহ করে। এরপর আমেরিকা যাওয়া যায়। দুবাই থেকে আমেরিকা যাওয়া যায়। তবে ভিসার সংগ্রহ করা ক্ষেত্রে অনেক জটিলতা থাকে। যদি আমেরিকা যাওয়ার যোগ্যতা থাকে। তবে ভিসা আবেদন করার মাধ্যমে দুবাই থেকে আমেরিকায় যেতে পারবেন।
এখানে আমেরিকার যেতে কত টাকা লাগে তা উল্লেখ করা হয়েছে। আশা করা যায় এখান থেকে জানতে পেরেছেন। এই পোস্ট আপনাদের ভালো লেগেছে।