মোটরসাইকেল লাইসেন্স রেজিস্ট্রেশন ফি ২০২৪ | পেশাদার ও অপেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্স ফি

ড্রাইভিং লাইসেন্স করতে কত টাকা লাগে? আপনার কোন ধরনের ড্রাইভিং লাইসেন্স করা দরকার? দালাল ছাড়া ড্রাইভিং লাইসেন্স করা সম্ভব? স্মার্ট কার্ড কিভাবে পাব ও কত দিন সময় লাগবে? যানবাহন চালানোর জন্য ড্রাইভিং লাইসেন্স অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ …

মোটরসাইকেল লাইসেন্স রেজিস্ট্রেশন ফি

ড্রাইভিং লাইসেন্স করতে কত টাকা লাগে? আপনার কোন ধরনের ড্রাইভিং লাইসেন্স করা দরকার? দালাল ছাড়া ড্রাইভিং লাইসেন্স করা সম্ভব? স্মার্ট কার্ড কিভাবে পাব ও কত দিন সময় লাগবে? যানবাহন চালানোর জন্য ড্রাইভিং লাইসেন্স অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি ডকুমেন্ট। আজকের ব্লগের মাধ্যমে ড্রাইভিং লাইসেন্স এর বিস্তারিত জানতে পারবো। দালাল ছাড়া কিভাবে ড্রাইভিং লাইসেন্স করতে হয় সে সম্পর্কে আপনাদের বিস্তারিত জানানোর চেষ্টা করব। ব্লগটি পড়ে পাশে থাকুন।

ড্রাইভিং লাইসেন্স কি

ড্রাইভিং লাইসেন্স হল আপনার গাড়ি চালানোর সম্মতিপত্র। অর্থাৎ আপনি যে গাড়ি চালাতে পারেন তার একটি ডকুমেন্টটি হল ড্রাইভিং লাইসেন্স। ড্রাইভিং লাইসেন্স ছাড়া কোন ধরনের যানবাহন চালানো নিষেধ।ড্রাইভিং লাইসেন্স না থাকলে আপনাকে মোটা অংকের জরিমানা গুনতে হবে।

মোটরসাইকেল লাইসেন্স রেজিস্ট্রেশন ফি ২০২৪

লাইসেন্স করতে হলে আপনাকে কিছু স্টেপ ফলো করতে হবে। প্রথমত আপনাকে একটি লার্নার অর্থাৎ ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য আবেদন করতে হবে। এখন কথা হচ্ছে আপনার কোন ধরনের ড্রাইভিং লাইসেন্স লাগবে?

ড্রাইভিং লাইসেন্সের প্রকারভেদ:

ড্রাইভিং লাইসেন্স সাধারণত দুই প্রকার।

  • ১। পেশাদার।
  • ২। অপেশাদার।

পেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্স ফি

আপনি যদি ভাড়ায় গাড়ি চালিয়ে থাকেন। কোন কোম্পানিতে বা কোন অফিসে ড্রাইভিং এর জব করে থাকেন। অর্থাৎ আপনার নিজের নামে রেজিস্ট্রেশন ছাড়া অন্যান্য গাড়িও চালাতে পারবেন যে লাইসেন্স এর মাধ্যমে সেটা হল পেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্স। পেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্সের স্থায়িত্বকাল ০৫ বছর। পেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্স এর ক্ষেত্রে আপনাকে ২৭৭২ টাকা জমা দিতে হবে। পেশাদার লাইসেন্স আবেদন করতে আপনার বয়স হতে হবে ২১ বছর।

আরও জানুনঃ বাইকের রেজিষ্ট্রেশন ফি কত ২০২৪ | ২ ও ১০ বছর ট্যাক্স টোকেনসহ কত টাকা

অপেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্স ফি

যে সমস্ত গাড়ি বা মোটরসাইকেল আপনার নিজের নামে রেজিস্ট্রেশন করা কেবলমাত্র সেসব গাড়িগুলোই আপনি ও পেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্স এর মাধ্যমে চালাতে পারবেন। অপেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্স ১০ বছরের হয়। এর জন্য আপনাকে ৪৪৯৭ টাকা বিআরটিএ এর ব্যাংকে জমা দিতে হবে। অপেশাদার লাইসেন্স এর ক্ষেত্রে সর্বনিম্ন বয়স হতে হবে ১৮ বছর।

আবার লাইসেন্স তিন ধরনের:

আপনি চাইলে শুধু মোটরবাইকের জন্য লাইসেন্স করতে পারবেন। আবার শুধু গাড়ির জন্য ড্রাইভিং লাইসেন্স করতে পারেন। আবার দুটি একসাথে চালাতে পারবেন এর জন্য ড্রাইভিং লাইসেন্স এর আবেদন করতে পারবেন। আশা করি উপরে আলোচনা থেকে বুঝতে পেরেছেন আপনার কোন ধরনের ড্রাইভিং লাইসেন্স লাগবে।

মোটরসাইকেল ড্রাইভিং লাইসেন্স ফি কত

লার্নার ড্রাইভিং লাইসেন্স করতে কি কি লাগবে

  • ১।স্ট্যাম্প সাইজের ছবি।
  • ২। নাগরিক সনদের কপি।
  • ৩। শিক্ষাগত সনদের কপি।
  • ৪। মেডিকেল সার্টিফিকেটের কপি।
  • ৫। বিদ্যুৎ বিলের কাগজ।

বিআরটিএ এর সার্ভিস পোর্টালে গিয়ে আপনাকে লার্নার করতে হবে।

আরও পড়ুনঃ বাইকের রেজিস্ট্রেশনের প্রয়োজনীয় কাগজপত্র

আপনাকে এক বিষয়ের লার্নার আবেদন করার জন্য অর্থাৎ শুধু মোটরসাইকেল বা শুধু গাড়ির জন্য অনলাইনে নির্ধারিত ফ্রি ৫১৮ টাকা জমা দিতে হবে। আবার আপনি যদি মোটরসাইকেল ও গাড়ি দুইটির জন্য আবেদন করতে চান তাহলে আপনাকে অনলাইন ফি দিতে হবে ৭৪৮ টাকা। বিকাশ বা ডাচ বাংলার মাধ্যমে পেইড করতে পারবেন। এরপর লার্নার আবেদনের প্রিন্ট আউট কপিটি সংরক্ষণ করুন। লক্ষ্য করে দেখবেন লার্নার ফরমে পরীক্ষার তারিখ এবং সময় দেওয়া আছে। পরীক্ষা কোথায় অনুষ্ঠিত হবে স্থানের নাম উল্লেখ করা থাকবে।

ড্রাইভিং লাইসেন্সের পরীক্ষার নিয়মাবলী

ড্রাইভিং লাইসেন্স করতে গেলে BRTA তে তিন ধরনের পরীক্ষা হয়ে থাকে।

  • ১। রাইটিং
  • ২। ভাইবা
  • ৩। প্রাকটিক্যাল

রাইটিংঃ রাইটিং এ ২০ মার্কের পরীক্ষা থাকবে। সময় দেয়া হবে ২০ মিনিট। ১২ পেলে আপনি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে পারবেন।

ভাইবাঃ ভাইবাতে আপনাকে বিভিন্ন রোড সাইন সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হবে।

প্র্যাকটিক্যালঃ যে যে বিষয়ের উপর লার্নার আবেদন করেছেন। অর্থাৎ যদি বাইকের জন্য লাইসেন্সের আবেদন করে থাকেন তাহলে বাইক চালিয়ে দেখাতে হবে। আবার যদি গাড়ির জন্য আবেদন করে থাকেন তাহলে আপনাকে গাড়ি চালিয়ে দেখাতে হবে। উভয়ের জন্য আবেদন করে থাকলে বাইক এবং গাড়ি দুটি চালিয়ে দেখাতে হবে।

ড্রাইভিং লাইসেন্স এর ফিঙ্গারপ্রিন্ট কখন হবে?

ড্রাইভিং লাইসেন্সের তিনটি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার পর আপনি ফিঙ্গারপ্রিন্ট দিতে পারবেন। ফিঙ্গারপ্রিন্ট এর কাজ শেষ হলে আপনাকে ডোপ টেস্টের তারিখ জানিয়ে দেয়া হবে। ডোপ টেস্টের রেজাল্ট পজিটিভ হলে বিআরটিএ অফিসে চলে যাবে।

ড্রাইভিং লাইসেন্সের স্মার্ট কার্ড কখন পাবো?

উপরের সকল কার্যক্রম শেষ হলে আপনার কাছ থেকে অতিরিক্ত ৬০ টাকা রাখা হবে। ফিঙ্গারপ্রিন্ট ডোপ টেস্ট শেষে ২০ দিনের মধ্যে ডাকযোগে আপনার ঠিকানায় স্মার্ট কার্ড পৌঁছে যাবে ড্রাইভিং লাইসেন্স করার জন্য আপনাকে অবশ্যই অষ্টম শ্রেণী পাস হতে হবে। পরীক্ষার দিন লার্নার কপি ও লার্নার কপির সাথে সংযুক্ত কাগজপত্র গুলো নিয়ে যেতে হবে। জাতীয় পরিচয়পত্রের অরজিনাল কপি নিতে হবে।

আশা করি উপরের ব্লগের মাধ্যমে কিভাবে ড্রাইভিং লাইসেন্স করতে হয় তার বিস্তারিত জানতে পেরেছেন। কোন ধরনের প্রশ্ন থাকলে কমেন্ট করে জানাবেন, ধন্যবাদ।

আরও দেখুনঃ 

১৬০ সিসি বাইক রেজিস্ট্রেশন ফি ২০২৪

১৫০ সিসি বাইক রেজিস্ট্রেশন ফি ২০২৪

১২৫ সিসি বাইক রেজিস্ট্রেশন ফি ২০২৪

মোটর সাইকেল রেজিস্ট্রেশন ফি ২০২৪

১১০ সিসি বাইক রেজিস্ট্রেশন ফি ২০২৪

4 thoughts on “মোটরসাইকেল লাইসেন্স রেজিস্ট্রেশন ফি ২০২৪ | পেশাদার ও অপেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্স ফি”

  1. পাস করার কতদিন এর মধ্যে লাইসেন্স ফি জমা দিতে হয়,ফি জমা দেওয়ার সময় কতদিন দেয়

    Reply
    • আপনার লার্নার কার্ডের মেয়াদ যত দিন আছে, তার মধ্যে করে দিলেই হবে। তবে আপনি যতো পেমেন্ট করতে দেরি করবেন। আপনার লাইসেন্স এর স্মার্ট কার্ড বের হতে ততো দেরি হবে।

      Reply
  2. পরীক্ষায় পাস করার পর পাস লার্নার, মেডিকেল সার্টিফিকেট সহ প্রয়োজনীয় কাগজ সার্কেল অফিসে জমা দেওয়া লাগে কি? অনলাইন লাইসেন্স কপি পেয়েছি কিন্তু ২ মাস হয়ে গেছে স্মার্ট লাইসেন্স পাই নি এখনও

    Reply
    • পরীক্ষায় পাস করার পর নির্ধারিত ফি প্রদান করার সময় অনলাইনে কাগজপত্র জমা দিতে হয়। নির্ধারিত ফি জমা দেওয়ার সাত দিনের ভিতরে ই-লাইসেন্স পাওয়া যায়। লাইসেন্স স্মার্টকার্ড পেতে অনেক সময় লাগে।

      Reply

Leave a Comment