ফুল ফুটুক আর না ফুটুক আজ বসন্ত। বসন্ত আসলে চারিদিকে গাছে গাছে ফুলের সমারোহ দেখা দেয়। চারদিকে কোকিলের কন্ঠের কুহু কুহু ডাক শোনা যায়। বাংলাদেশে বসন্ত এক অন্যতম ঋতু। এই ঋতুর সবার মনে দোলা দিয়ে যায়। আপনি হয়তো পহেলা ফাল্গুনের অপেক্ষায় আছেন। অনেকেই আছেন যারা অনুসন্ধান করছেন এই বছর বসন্ত কত তারিখে উদযাপন হবে। আপনাদের কথা চিন্তা করে আজকের এই পোস্টে উল্লেখ করা হয়েছে পহেলা ফাল্গুন 2025 সালের কত তারিখ অনুষ্ঠিত হবে। ফেব্রুয়ারি মাসের ১৪ তারিখ বসন্ত ঋতুর প্রথম দিন যাকে আমরা পহেলা ফাল্গুন বলে থাকি।
বসন্ত ২০২৫
বসন্ত বাংলা নববর্ষের ১ম দিন। এটি সাধারণত ফেব্রুয়ারি বা মার্চ মাসে পড়ে। বসন্তকে ঋতুরাজ বলা হয়, কারণ এটি বসন্তের আগমনকে চিহ্নিত করে। বসন্ত একটি রঙিন উৎসব। লোকেরা রঙিন পোশাক পরে ও একে অপরের দিকে আবির ছুঁড়ে। রাস্তায় রাস্তায় মিউজিক্যাল শো ও মিছিল হয়।বসন্ত প্রেমিক-প্রেমিকাদের জন্য একটি বিশেষ দিনও। তারা একে অপরকে ফুল উপহার দেয় ও একসাথে সময় কাটায়। বসন্ত বাংলা নববর্ষের প্রথম ঋতু। এটি ফাগুন ও চৈত্র মাস জুড়ে বিস্তৃত। বসন্ত ঋতুকে প্রায়শই প্রেম, সৌন্দর্য ও নতুন সূচনার ঋতু হিসেবে দেখা হয়।
বসন্তের কিছু বৈশিষ্ট্য
- ফুল: বসন্ত ঋতু ফুলের জন্য বিখ্যাত। এই ঋতুতে, পলাশ, গাঁদা, শিউলি, জারুল, এবং আরও অনেক ফুল ফোটে।
- কুকিলের ডাক: বসন্ত ঋতু কুকিলের ডাকের জন্যও বিখ্যাত। কুকিলের ডাক বসন্তের আগমনকে বোঝায়।
- উৎসব: বসন্ত ঋতুতে অনেক উৎসব পালিত হয়। এর মধ্যে রয়েছে পহেলা ফাল্গুন, হোলি, এবং চড়ক পূজা।
বসন্ত বাংলাদেশের একটি জনপ্রিয় ঋতু। এই ঋতুতে, লোকেরা গ্রামে বেড়াতে যায় ও প্রকৃতির সৌন্দর্য উপভোগ করে।
পহেলা ফাল্গুন ২০২৫
- পহেলা ফাল্গুন ২০২৫
- তারিখ: ১৪ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫
- বার: বুধবার
- ৩ শাবান ১৪৪৫
পহেলা ফাল্গুন বাংলা নববর্ষের প্রথম দিন। এটি বসন্তের আগমনী বার্তা বহন করে। এই দিনে বাংলাদেশ ও পশ্চিমবঙ্গে বিভিন্ন রঙের পোশাক পরিধান করে, বসন্তবরণ উৎসব পালিত হয়। পহেলা ফাল্গুনের অন্যতম আকর্ষণ হল আবীর খেলা। এই দিনে সকলে রঙিন আবীর দিয়ে একে অপরকে রাঙিয়ে তোলে। বসন্তের আগমনকে স্বাগত জানাতে বিভিন্ন বসন্ত বরণ গান গাওয়া হয়। বিভিন্ন রকমের ফুলের প্রদর্শনী আয়োজন করা হয়। একে অপরকে ফাল্গুনের শুভেচ্ছা বিনিময় করা হয়।
পহেলা ফাল্গুন উদযাপন নিয়ে কিছু টিপস:
নতুন ঋতুর প্রথম দিনে বাঙালি সংস্কৃতি অনুসারে অনেকে বিভিন্ন ধরনের কাজের মাধ্যমে দিনটি পালন করে। তাই আপনাদের জন্য চলিত কিছু উদযাপনের কাজের ধারণা নিচে দেওয়া হয়েছে।
- নতুন পোশাক: পহেলা ফাল্গুনে নতুন রঙের পোশাক পরিধান করতে পারেন।
- আবীর খেলা: আবীর খেলার সময় সাবধানতা অবলম্বন করুন।
- পরিবেশের যত্ন: আবীর খেলার সময় পরিবেশ দূষণ না করার চেষ্টা করুন।
পহেলা ফাল্গুন একটি আনন্দ-উৎসব। এই দিনে সকলে মিলে রঙিন আবহে বসন্তের আগমন উদযাপন করে।
বসন্ত কত তারিখে ২০২৫
পহেলা ফাল্গুন বাংলা নববর্ষের প্রথম দিন ও বসন্তের আগমনী বার্তা। ২০২৫ সালে পহেলা ফাল্গুন বৃহস্পতিবার, ১লা ফেব্রুয়ারি তারিখে পালিত হবে। এই দিনটিতে, বাংলাদেশের সর্বত্র রঙের উৎসবের আয়োজন করা হয়। মানুষ নববর্ষের শুভেচ্ছা বিনিময় করে, রঙিন পোশাক পরে এবং বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করে। ঢাকায়, রমনা পার্ক, চারুকলা অনুষদ, এবং ধানমণ্ডি লেক এলাকা হলো পহেলা ফাল্গুন উদযাপনের কেন্দ্রীয় স্থান।
পহেলা ফাল্গুনের কিছু ঐতিহ্যবাহী রীতিনীতি
- বসন্ত বরণ: ভোরবেলায়, মানুষ ফুল দিয়ে বসন্তকে বরণ করে।
- পহেলা ফাল্গুনের শুভেচ্ছা: মানুষ একে অপরকে পহেলা ফাল্গুনের শুভেচ্ছা বিনিময় করে।
- রঙের খেলা: মানুষ একে অপরের উপর রঙ ছুঁড়ে খেলে।
- নববর্ষের গান: বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে নববর্ষের গান পরিবেশিত হয়।
- নববর্ষের খাবার: বিশেষ নববর্ষের খাবার, যেমন পায়েস, পান্তা ভাত, ইলিশ মাছ, ইত্যাদি পরিবেশন করা হয়।
পহেলা ফাল্গুন বাঙালি সংস্কৃতির একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। এটি ঐক্য, সংস্কৃতি ও প্রকৃতির সাথে সম্প্রীতির প্রতীক। তারিখ: ১লা ফাল্গুন, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ (১৪ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫) বার: বুধবার।
বসন্ত উৎসব: বাংলা নববর্ষের প্রথম দিন হিসেবে পহেলা ফাল্গুন উদযাপিত হয়। এই দিনটিতে, লোকেরা রঙিন পোশাক পরে, গান গায়। একে অপরকে আবির দিয়ে খেলা করে। পহেলা ফাল্গুন কে ভালোবাসা দিবস হিসেবেও পালিত হয়। এই দিনটিতে, প্রেমিক-প্রেমিকা একে অপরকে ফুল, কার্ড ও উপহার দেয়।
১লা ফাল্গুন ২০২৫
পহেলা ফাল্গুনে রঙিন পোশাক পরার রীতি আছে। আপনিও এই দিনটিতে রঙিন পোশাক পরতে পারেন। পহেলা ফাল্গুনের আরেকটি আকর্ষণ হল আবির খেলা। আপনিও আপনার বন্ধু-বান্ধব এবং পরিবারের সদস্যদের সাথে আবির খেলতে পারেন। পহেলা ফাল্গুনে বসন্তের গান গাওয়ার রীতি আছে। আপনিও এই দিনটিতে বসন্তের গান গাইতে পারেন। ভালোবাসা দিবস উপলক্ষে আপনি আপনার ভালোবাসার মানুষের জন্য একটি উপহার কিনতে পারেন।
পহেলা ফাল্গুন ২০২৫ ইংরেজি কত তারিখ
ফেব্রুয়ারী ১৪ তারিখ রোজ বুধবার পহেলা ফাল্গুন পালন করা হবে।
পহেলা ফাল্গুনের কিছু মজার তথ্য
পহেলা ফাল্গুন বাংলাদেশের একটি জাতীয় ছুটির দিন। এই দিনটিতে, ঢাকার বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদের সামনে রমনা পার্কে বসন্ত উৎসবের আয়োজন করা হয়। পহেলা ফাল্গুন শুধু বাংলাদেশেই নয়, পশ্চিমবঙ্গেও উদযাপিত হয়। পহেলা ফাল্গুন একটি আনন্দ ও উৎসবের দিন। এই দিনটিতে, আমরা বসন্তের আগমন উদযাপন করি। আমাদের ভালোবাসার মানুষদের প্রতি আমরা ভালোবাসা প্রকাশ করি।
পহেলা ফাল্গুন কত তারিখ আশা করি জানতে পেরেছেন। আপনাদের পহেলা ফাল্গুন সম্পর্কে আরো কিছু জানার থাকলে অবশ্যই কমেন্ট করে জিজ্ঞাসা করবেন। পহেলা ফাল্গুন নিয়ে স্ট্যাটাস ক্যাপশন ও বিভিন্ন উক্তি পেতে আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করুন।